#মুম্বই: এ যেন ঠিক বলিউডের সিনেমার প্রতিশোধের লড়াই। বদলা নেওয়ার পালা চলছে বছরের পর বছর। সম্পত্তি হাতানোর জন্য একজন অন্যজনকে খুন করছে। কেউ আবার সেই খুনের বদলা নিতে লাখ-লাখ টাকার সুপারি দিচ্ছে পেশাদার খুনিকে। এই রকমই এক হত্যার চক্রান্ত সামনে নিয়ে এল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মুম্বই-এর বিশাল মটকা ব্যবসার মালিক সুরেশ ভগতের স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে সুপারি দিয়ে খুনের চক্রান্ত করেছিল সুরেশের ভাই বিনোদ ভগত। পুলিশের হস্তক্ষেপে বানচাল হয়ে গেল তার পরিকল্পনা।
ঘটনার সূত্রপাত, ২০০৮ সালে। ৩,০০০ কোটি টাকার মটকার ব্যবসা হাতানোর জন্য মুম্বইয়ের তথাকথিত ‘মটকা কিং’ সুরেশ ভগতকে খুন করে স্ত্রী জয়া ভগত এবং ছেলে হিতেশ। এই ঘটনার ৫ বছর পর, ২০১৩ সালে সুরেশের হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সুরেশের স্ত্রী জয়া। শাস্তি হয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তবে এই মুহূর্তে জামিনে ছাড়া পেয়ে জেলের বাইরে ছিল জয়া।
মুম্বই পুলিশের দাবি, বিনোদ তার ভ্রাতৃবধূ জয়াকে খুন করার সুপারি দিয়েছিল বশির বেগানি আলিয়াস মামু-কে। বশির থাকে ব্রিটেনের ম্যাঞ্চেস্টারে। হত্যা করার জন্য বিনোদ তাকে দিয়েছিল ৬০ লক্ষ টাকা। এই টাকা থেকেই আবার ১৪ লক্ষ টাকা বশির দেয় রনবীর শর্মা আলিয়াস পন্ডিত-কে। এই রনবীর শর্মা-র দলে রয়েছে আরও দু’জন, জাভেদ আনসারি এবং আনোয়ার দর্জি।
সুপারি পাওয়ার পর থেকেই, জয়া’র বাড়ির সামনে নজর রাখতে শুরু করেছিল অভিযুক্তের দল। কিন্তু গত ১৮ ডিসেম্বর, আনোয়ার দর্জি ধরা পড়ে যায় পুলিশের কাছে। তার কাছে মিলেছে দুটি পিস্তল, কার্তুজ এবং জয়া ও তার বোন আশা’র ছবি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দর্জি জানিয়েছে, তাকে এই কাজের নির্দেশ দিয়েছিল জাভেদ আনসারি। পুলিশের ধারনা, ভাই-এর মৃত্যুর বদলা নিতে এবং মটকা ব্যবসার উপর নিজের পুরোপুরি কবজা আনতেই এমন কাজ করেছে ঘটনার মূল চক্রী বিনোদ ভগত।