SHANKU SANTRA
#কলকাতা: শহরে বেশ কিছু পরিশুদ্ধ পানীয় জলের কিয়স্ক আছে।যেগুলি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থারা রক্ষণা বেক্ষণ থেকে আরম্ভ করে প্রতিস্থাপন করে। তারা পুরসভা গুলোর কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, ওই কিয়স্ক গুলো থেকে বিশুদ্ধ ,পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করবে মানুষকে। পথচারীরা সবসময়, এই জল পান করে থাকেন। প্রচুর মানুষ তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ব্যবহার করেন ও বাড়িতে মজুত করে রাখেন এই জল। বহু স্কুল কলেজ পড়ুয়া, খুদেরা এই জল পান করে। সবাই জানে, এই জল একেবারে পরিশুদ্ধ। কিন্তু আদৌ কি তাই? বেশির ভাগ জলের কিয়স্ক গুলো নোংরা। কোনওটার জল পরিশুদ্ধির ক্যান্ডেল খারাপ। মানুষ সরাসরি কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে আসা জল পান করছেন। বেশ কিছু মানুষের দাবি, এখন কলকাতায় কোথাও টিউবওয়েল নেই। জল পান করতে গেলে ওখান থেকেই পান করতে হয়। হাতিবাগানের একটি কিয়স্কে একই পরিস্থিতি দেখা গেল। এমনও দেখা গেল নিমতলা এলাকার একটি জলের কিয়স্কে কলের মুখে প্লাস্টিক জড়ানো। সেই প্লাস্টিকে সবুজ শ্যাওলা জমে গিয়েছে।এর মাধ্যমে জল বাহিত রোগের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। কিয়স্কের পেছনে গিয়ে দেখা গেল ক্যান্ডেল থেকে খোলা রয়েছে জলের পাইপ।কর্পোরেশনের পাইপের জল এসে সরাসরি ওই কিয়স্কের উপরে জলের ট্যাংকে মজুত হচ্ছে। সেখান থেকে জল নামছে। অনেকের দাবি ওই ট্যাংক পরিষ্কার হয় না ।
এই বিষয় নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর মোহন কুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ তালা ভেঙে দেয়, নোংরা করে দেয়। আমরা চেষ্টা করছি পরিষ্কার রাখার। আর ওই বেসরকারি সংস্থাকে বলব রক্ষণাবেক্ষণ করতে।'‘ বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়ে রয়েছে একটি কিয়স্ক । সেই কিয়স্কেরও একই অবস্থা। নিমতলা ঘাটের কাছে কিয়স্কের কলে প্লাস্টিক জড়ানো। সেই প্লাস্টিকে সবুজ শ্যাওলা। সেই জল সবাই খাচ্ছে। মানুষের অসুখের জীবাণুর মূল পরিবাহী জল। সেই অপরিশ্রুত জল খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থা গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।