#ভোপাল: করোনা ভাইরাস আমাদের জীবন অনেক পাল্টে দিয়েছে। রোজকার অভ্যাস পাল্টে গিয়েছে। মানুষের মধ্যে এমন কিছুর সহ্য শক্তি এসেছে, যা মানবজাতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। এসেছে লড়াইয়ের মানসিকতা। জিতে না ফেরা পর্যন্ত নাছোড়বান্দা মনোভাব। আর মনোভাবেরই পরিচয় দিলেন শোভারাম।
লকডাউনের কারণে রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া নেই। গণপরিবহণের দেখা পাওয়া ভার। চলছে না লোকাল ট্রেন। সাধারণ গরীব মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে অনেকটাই। কেউ কর্মস্থলে যেতে পারছেন না তো কেউ অসুস্থ পরিবারের কাছে যেতে পারছেন না, তো কেউ কাজে যেতে পারছেন না। কিন্তু ছেলের পরীক্ষা শুনে আর দ্বিতীয় বার ভাবেননি শোভারাম। ছেলেকে বসিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন সাইকেলে। ক্লাস ১০–এর সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার জন্য ১০৫ কিমি সাইকেল চালিয়ে মধ্যপ্রদেশের শোভারাম ছেলেকে দিয়ে এসেছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। তিনি জানিয়েছে বৈদিপুরের গ্রাম থেকে তিনি রওনা হয়েছেন ছেলেকে সাইকেলের সামনের রডে বসিয়ে। সাপ্লি না দিতে পারলে ছেলের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে, তাই দূরত্ব নিয়ে ভাবার সময় পাননি তিনি।
হোক ১০৫ কিলোমিটার, কিন্তু যেতে হবেই। বাসে করে করোনা সংক্রমণের মধ্যে যাওয়া যাবে না। আর অন্য কোনও উপায়ও নেই দেখে তিনি সাইকেলেই ভরসা করেছেন। ছেলেকে সাইকেলে বসিয়েই নিয়ে চলেছে শিক্ষাকেন্দ্রের জন্য। মনে অদম্য জেদ, আর শক্তি সঞ্চয় করে শেষ পর্যন্ত যথাস্থানে, যথা সময়ে পৌঁছেও দিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ পথ যাত্রার জন্য সঙ্গে নিয়েছিলেন খাবার, জল, সবই। মোট একদিন লেগেছে এই পথ অতিক্রম করতে। সোমবার শুরু করে মঙ্গলবার তাঁরা পৌঁছে গিয়েছে ধার শহরে। ছেলে বলছে, আজ বাবার জেদ ছিল বলেই পরীক্ষা দিতে আসতে পারলাম। না হলে হয়ত পড়াশোনা এখানেই শেষ হয়ে যেত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Madhyapradesh