হোম /খবর /দেশ /
এমন কী রয়েছে এই মোমোতে! দোকান খুলতেই ভিড় করছে ৮ থেকে ৮০ সকলে

Momo Startup: এমন কী রয়েছে এই মোমোতে! দোকান খুলতেই ভিড় করছে ৮ থেকে ৮০ সকলে

দোকান খুলতেই ভিড় করছে ৮ থেকে ৮০ সকলে

দোকান খুলতেই ভিড় করছে ৮ থেকে ৮০ সকলে

Momo Startup: এমডি জৈন ইন্টার কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাথে প্রতি সন্ধ্যায় মোমোর সম্ভার নিয়ে বসেন দুই তরুণ তরুণী

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

আগ্রা: ‘স্ট্রেস’ শব্দটি বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। মানুষের জীবনে এই মানসিক চাপ নিত্যদিনের বিষয়। কিন্তু ‘স্ট্রেস মোমো’—এমন নাম শুনেছে কেউ কখনও? খেয়ে দেখেছে স্ট্রেস মোমো? কোথায় পাওয়া যায়?

স্ট্রেস মোমো পাওয়া যায় আগ্রায়। স্থানীয় সিভিল লাইনস এলাকার এমডি জৈন ইন্টার কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাথে প্রতি সন্ধ্যায় মোমোর সম্ভার নিয়ে বসেন দুই তরুণ তরুণী।

এঁদের ঝুলিতে অবশ্য শুধু স্ট্রেস মোমো-ই নেই। বরং রয়েছে কুল মোমো, অ্যাংগ্রি মোমো থেকে শুরু করে ফ্যাটি মোমোও। মোমো বিক্রেতা বেশির ভাগ সময়ই কথা বলেন ইংরিজিতে। আর তাতেই চমকে যান ক্রেতারা। যদিও তাঁদের আসল চমক থাকে মোমোর স্বাদে।

স্ট্রেস মোমো দম্পতির জীবন কাহিনি তাঁদের তৈরি করা মোমোর মতোই দারুন চটপটা। আগ্রার ঋত্বিক আর সিকিমের শ্রীজানের দেখা হয়েছিল হায়দরাবাদে। তাঁরা হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে সেখানে চাকরি করতে গিয়েছিলেন। একেবারে বলিউডি সিনেমার মতোই ঝগড়া দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেম কাহিনি। তারপর জীবনসঙ্গী হয়ে এখন তাঁরা ব্যবসায়িক অংশীদারি।

 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দু’জনে বিয়ে করেন। ঋত্বিক আলাদা চাকরি করেন। কিন্তু বিয়ের পর পরই নিজের চাকরি হারান শ্রীজান। প্রথম কয়েক মাস চাকরি খুঁজলেও নতুন করে জীবন শুরুর কথা ভাবতে থাকেন সম্প্রতি। আর যেমন ভাবা তেমনই কাজ। জীবনের ‘স্ট্রেস’-কে মোমোয় রূপ দিয়ে ফেললনে শ্রীজান।

শুরু হল ফুড স্টার্টআপ ‘স্ট্রেস মোমোজ’। প্রথম দিকে কারিগর পাওয়া যেত না, তাই নিজেরাই মোমো বানাতে শুরু করেন। শ্রীজান সিকিমের বাসিন্দা, তাই মোমো নিয়ে তার আলাদা অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। কিন্তু সমস্যা অন্যত্রও ছিল। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করা মুখের কথা নয়। তবে ঋত্বিক ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে তাই ব্যবসা সামাল দিতে খানিকটা সুবিধা হয়েছে।

আরও পড়ুন,  মিনিটে মিনিটে শক্তি বাড়াচ্ছে ‘মোকা’! কোথায় করছে ল্যান্ডফল, বাংলায় কতটা প্রভাব

আরও পড়ুন, অনেকেই সম্ভবত জানেন না! মহিলাদের সাহায্যের জন্য রয়েছে এই প্রকল্পগুলি

ঋত্বিক বলে, ‘চাকরির ফাঁকে সময় বের করে স্ত্রীকে সাহায্য করি। সমস্ত মোমো প্রথম দিনেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন ধীরে ধীরে ভাল লাভ হচ্ছে।’ এদিকে শ্রীজান হিন্দি বলতে পছন্দ করেন না। তাই ইংরিজিতেই কথা বলেন। তাই শুনে ক্রেতারা প্রথম প্রথম অবাক হতেন। শ্রীজান বলেন, ‘সকলে জিজ্ঞাসা করত বাইরে থেকে এসেছি কিনা। কোথাকার লোক আমি, কেন ব্যবসা করছি। এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে।’

Published by:Suvam Mukherjee
First published:

Tags: Momo