হোম /খবর /দেশ /
ভারতের এই রাজ্যের মানুষই সবচেয়ে সুখী! তাঁদের শান্তি ও স্বস্তির রহস্য কী, জানেন?

Happiest State of India: ভারতের সবচেয়ে সুখী রাজ্যের নাম বলুন তো! জানেন কি তাঁদের এই বিপুল শান্তি ও স্বস্তির রহস্য?

মিজোরামে ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি হলেও এখানে যেহেতু ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই সাবলম্বী হতে শেখানো হয়, দুজনেই যেহেতু অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন, তাই কারও উপরেই কেউ বোঝা হয়ে থাকে না৷ অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কও সহজে ছেড়ে বেরিয়ে এসে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে৷

আরও পড়ুন...
  • Share this:

আইজল (মিজোরাম): ভারতের সবচেয়ে সুখী রাজ্য কোনটি জানেন? না সেটা দিল্লি, কর্ণাটক বা কেরলা নয়৷ নয় পশ্চিমবঙ্গও৷ নাম জেনে গেলেই ভাববেন, এই রাজ্য৷ এত কঠিন প্রাকৃতিক পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও, ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের সমস্ত আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে কিছুটা হলেও দূরে থেকেও এই রাজ্যের মানুষ ঠিক নিজেদের খুশিটুকু ধরে রাখতে পেরেছেন৷ কী ভাবে? কথা হচ্ছে মিজোরামের৷ হ্য়াঁ, মিজোরামই হল ভারতের সবচেয়ে সুখী রাজ্য৷ এই রাজ্যের মানুষই সত্যিই সুখে রয়েছেন৷ সমীক্ষা অন্তত তাই বলছে৷

মিজোরামই হল ভারতের দ্বিতীয় এমন রাজ্য যেখানকার ১০০ শতাংশ মানুষই সাক্ষর৷ সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ‘‘মিজোরামের হ্যাপিনেস ইনডেক্স, অর্থাৎ, খুশির সূচক, ছটি বিষয় পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে৷ পারিবারিক সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে আনন্দ, সামাজিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সমাজসেবা, ধর্ম, করোনা এবং মিজোরামের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য৷’’

রিপোর্টে একাধিক মানুষের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ যেমন ধরুন, আইজলের গর্ভনমেন্ট মিজো হাইস্কুল এক ছাত্র৷ তার বাবা, তাদের পরিবার পরিত্যাগ করেছে৷ কিন্তু, তা-ও সে আশাবাদী৷ পড়াশোনায় ভাল৷ বড় হয়ে সে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চায়, নয়ত, একজন সিভিল সার্ভেন্ট৷

দশম শ্রেণির আরেক ছাত্র সেনায় যোগ দিতে চায়৷ তার বাবার দুধের ব্যবসা৷ মা হোমমেকার৷ বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীই জানিয়েছে,তাঁদের সঙ্গে তাঁদের শিক্ষকদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো৷ শিক্ষকদের সঙ্গে তাঁরা সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে৷

Eben-ezer Boarding School-এর এক শিক্ষিকার কথায়, মিজোরামের সামাজিক পরিকাঠামোই বাচ্চাদের আনন্দের জন্য দায়ী৷ মিজোরামে কোনও জাতিভেদ প্রথা নেই৷ লিঙ্গ নির্বিশেষে সব বাচ্চাই এখানে সমান অধিকার ও শিক্ষা পায় এবং খুব ছোট বয়স থেকে, ছেলে হোক কী মেয়ে নিজেই উপার্জন করতে শুরু করে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিজোরামের মানুষ কোনও কাজকে ছোট হিসাবে দেখে না৷ ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যেই এখানকার বাচ্চারা নিজের জন্য কাজ খুঁজে নিয়ে রোডগার করতে থাকে৷

আরও পড়ুন: জন বিস্ফোরণ! ভারত টপকে গেল চিনকেও, জানেন এখন দেশে জনসংখ্যা কত?

মিজোরামে ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি হলেও এখানে যেহেতু ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই সাবলম্বী হতে শেখানো হয়, দুজনেই যেহেতু অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন, তাই কারও উপরেই কেউ বোঝা হয়ে থাকে না৷ অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কও সহজে ছেড়ে বেরিয়ে এসে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে৷

গুরুগ্রামের Management Development Institute-এর শিক্ষক রাজেশ কে পিলানিয়ার তরফে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল৷

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Mizoram