হোম /খবর /দেশ /
৯১ দিনের অপেক্ষা,৪১ বছরের কৃষকের ওপেন হার্ট সার্জারি না করে ‘এই’ভাবে বাঁচল প্রাণ

৯১ দিন ধরে অপেক্ষায়, ৪১ বছরের কৃষকের দরকার হল না ওপেন হার্ট সার্জারির, অত্যাধুনিক মাইট্রাক্লিপ প্রযুক্তিতে বাঁচল প্রাণ

mitraclip implant at apollo hospital saves 41 year old farmer who was waiting for 91 days for a heart transplant

mitraclip implant at apollo hospital saves 41 year old farmer who was waiting for 91 days for a heart transplant

দরকার হল না ওপেন হার্ট সার্জারির, অত্যাধুনিক মাইট্রাক্লিপ প্রযুক্তিতে হৃদরোগীর জীবনরক্ষা করল বেসরকারি হাসপাতাল

  • Share this:

#নয়াদিল্লি: সবার আগে বলে রাখা ভালো, এই প্রযুক্তি কিন্তু অনেক বছর হয়ে গেল বিশ্বে আবিষ্কৃত হয়েছে, আমাদের দেশেও এর প্রয়োগ চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। ২০০৩ সালে ইউনাইটেড স্টেটসে প্রথম মাইট্রাক্লিপ ইমপ্লান্ট (MitraClip Implant) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল হৃদরোগীর জীবনরক্ষার জন্য। তবে সেটা ছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষার একেবারে প্রথম ধাপ; ২০০৮ সাল থেকে ইউনাইটেড কিংডম এবং ২০১৩ সাল থেকে ইউনাইটেড স্টেটসে এর বাণিজ্যিক স্তরে বহুল প্রয়োগ শুরু হয়, ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্য দেশের মতো ভারতেও জনপ্রিয় হয় এই নন-সার্জিক্যাল কার্ডিয়াক ভাল্ভ রিপেয়ার (Non-Surgical Cardiac Valve Repairs) পদ্ধতি। যেক্ষেত্রে অ্যাপলো হসপিটালস (Apollo Hospitals) এবং প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ড. সাই সতীশের (Dr. Sai Satish) অবদান উল্লেখযোগ্য- দেশের ৭০ শতাংশ মাইট্রাক্লিপ ইমপ্লান্ট এই প্রতিষ্ঠান এবং এই ব্যক্তির হাত ধরেই সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি সেই সাফল্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে জনৈক ৪১ বছর বয়সী কৃষকের নাম, মাইট্রাক্লিপ পদ্ধতির সাহায্যে তাঁর জীবনরক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে অ্যাপলো হসপিটালসের একজিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারপার্সন পৃথা রেড্ডি (Preetha Reddy) জানিয়েছেন যে এই ব্যক্তি বিগত তিন মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন, আরোগ্যলাভের জন্য নানা হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক ঝুঁকির কারণে তাঁর ক্ষেত্রে ওপেন হার্ট সার্জারি করা সম্ভব ছিল না। এখানেই কাজে আসে অ্যাপলো হসপিটালস এবং ড. সাই সতীশের মাইট্রাক্লিপ পদ্ধতি প্রয়োগের পূর্ব অভিজ্ঞতাজনিত দক্ষতা। রেড্ডি জানিয়েছেন যে তাঁরা আজ পর্যন্ত যে ক'টি মাইট্রাক্লিপ ইমপ্লান্ট করেছেন, তার সবগুলিই সফল হয়েছে। ব্যতিক্রম নন এই ব্যক্তিও, তিনি ইতিমধ্যেই চলাফেরা শুরু করেছেন বলে জানানো হয়েছে। পৃথা আরও দাবি করেছেন যে ওপেন হার্ট সার্জারির তুলনায় এই পদ্ধতি ৮৭.৫ শতাংশ সফল, ৩০ দিনের মধ্যে রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার হার ১০০ শতাংশ!

একজিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারপার্সনের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন অ্যাপলো হসপিটালসের সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টও! ড. সতীশ জানিয়েছেন যে তিনি অতীতে একই দিনে পর পর চারটি মাইট্রাক্লিপ ইমপ্লান্টের কাজ সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছেন, কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। এই পদ্ধতি এতটাই সহজ যে তা একটি ক্যাথ ল্যাবেই সম্পন্ন করা যায়, প্রয়োজন হলে রোগীর শরীরে যেখানে এই পলিয়েস্টার ফ্যাব্রিকযুক্ত মেটাল ক্লিপ প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, সেখান থেকে সরিয়ে অন্যত্রও বসানো যায়। ছিদ্রযুক্ত মাইট্রাল ভাল্ভকে ফের আগের কার্যকারিতায় ফিরিয়ে আনার জন্য এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়, এতে ভাল্ভে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, রোগীও সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। যে সব হৃদরোগীর গুরুতর শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আরোগ্যলাভের ক্ষেত্রে আজ সারা বিশ্বেই মাইট্রাক্লিপ ইমপ্লান্ট আদৃত, জানিয়েছেন তিনি।

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Farmers, Hospital