হোম /খবর /দেশ /
বাড়ি থেকেই শুরু হোক সচেতনতা, জেনে নিন দৈনন্দিন কাজে জল সংরক্ষণের উপায়গুলি!

Mission Paani: বাড়ি থেকেই শুরু হোক সচেতনতা, জেনে নিন দৈনন্দিন কাজে জল সংরক্ষণের উপায়গুলি!

Mission Paani: বাড়ি থেকেই শুরু হোক সচেতনতা, জেনে নিন দৈনন্দিন কাজে জল সংরক্ষণের উপায়গুলি!

Mission Paani: বাড়ি থেকেই শুরু হোক সচেতনতা, জেনে নিন দৈনন্দিন কাজে জল সংরক্ষণের উপায়গুলি!

প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত নানা কাজে জলের ব্যবহার হয়। আর ব্যবহারের পাশাপাশি জলের অপচয়ও হয়।

  • Share this:

এই পৃথিবীতে তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। এই মোট জলভাগের প্রায় ৯৭ শতাংশ সমুদ্র ও মহাসাগরে বন্দী। আর তিন শতাংশ জল অপেক্ষাকৃত মিষ্টি। এর মধ্যে আবার অধিকাংশটাই উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে বরফ হিসেবে জমে রয়েছে। বলা বাহুল্য, মানুষের ব্যবহার্য ও পানীয় জলের পরিমাণ নিতান্তই কম। আর এই সীমিত পরিমাণের মধ্যেই দিনের পর দিন জলের অপচয় হচ্ছে। যা ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে এক কঠিন বাস্তবের মুখে দাঁড় করাতে চলেছে। আর এই পরিস্থিতি থেতে বাঁচতে হলে সবাইকে এক হয়ে জল সংরক্ষণের পথে হাঁটতে হবে। এক্ষেত্রে শুরুটা করা যেতে পারে বাড়ি থেকেই।

প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত নানা কাজে জলের ব্যবহার হয়। আর ব্যবহারের পাশাপাশি জলের অপচয়ও হয়। তাই যদি প্রতিটি বাড়ির ছোট ছোট কাজ থেকেই জল সংরক্ষণের উপরে নজর দেওয়া যায়, তাহলে বৃহত্তর স্তরেও জল সংরক্ষণ সম্ভব হবে। এবার কয়েকটি সাধারণ বিষয়ের উপরে নজর দেওয়া যাক।

সকালে উঠে দাঁত মাজার সময়ে, কল থেকে জলের অপচয় হয়। অনেক সময় আমরা ব্রাশ করতে থাকি আর অন্য দিকে কলের জল খোলা থাকে। খুব একটা নজরও যায় না। এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজন মতো জলের ব্যবহার করতে হবে।

খুব বেশি চাপ না থাকলে ডিশ ওয়াশার, ওয়াশিং মেশিন বা এই জাতীয় মেশিন ব্যবহার করার দরকার নেই।

স্নান করতে গিয়ে শ্যাম্পু করা বা সাবান মাখার সময়ে জল খোলা রাখা চলবে না। একই কাজ করতে হবে বাসন মাজার সময়। বাসন মাজা হয়ে গেলে তার পর জল খুলে একসঙ্গে ধুয়ে নিতে হবে।

ওয়াটারিং ক্যান ব্যবহার করে গাছে জল দিতে হবে। এতে কিছুটা হলেও জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বাথরুমে শাওয়ারহেড ব্যবহার করা যাতে পারে। খুব একটা বেশি খরচ পড়বে না। উল্টে অনেকটা জল বেঁচে যায়।

মাঝে মাঝে বাথরুম ও ঘরের অন্যান্য কল, ট্যাপ, টয়লেট, শাওয়ার হেড সব পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। হয়তো অজান্তেই কোনও ছোট্ট ছিদ্র থেকে দীর্ঘ দিন ধরে জলের অপচয় হচ্ছে।

লং শাওয়ার ব্যবহার না করাই ভালো। এতে জলের অপচয় বাড়ে।

যে সমস্ত কলের নলে জলপ্রবাহের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম, সেগুলি ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় বড় মুখওয়ালা নল থেকে প্রচুর পরিমাণে জল পড়তে থাকে। ফলে অপচয়েরও সম্ভাবনা থাকে।

সব চেয়ে বড় বিষয়টি হল, মানুষজনকে এগিয়ে আসতে হবে। রাতারাতি কোনও রকেট সায়েন্স কাজে লাগিয়ে নিরাপদ পানীয় জল ও জল সংরক্ষণের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই সবার আগে জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে রোজ যে পরিমাণ জল নষ্ট হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তা হলে বাড়ি থেকেই এক মহৎ ও সুদূরপ্রসারী কর্মসূচির সূচনা হবে।

উল্লেখ্য, জলের অপচয় প্রতিরোধে, জলের সমস্যা দূর করতে এবং জনস্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে একটি কর্মসূচি নিয়েছে CNN News18 ও Harpic India। এই কর্মসূচির নাম মিশন পানি (Mission Paani)। যাতে প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা যায়, সবাই সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনধারণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই কাঙ্ক্ষিত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এই কর্মসূচি অভিযানকে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার আবেদন, এই মহৎ উদ্যোগের অংশ হোক দেশবাসী। প্রত্যেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে 'জল প্রতিজ্ঞা' নিক। সবার লক্ষ্য হবে একটাই, জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধির মানোন্নয়ন করতে হবে। বিশদে জানতে ক্লিক করুন www.news18.com/mission-paani লিঙ্কে।

Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: Drinking Water, Mission Paani