#সেন্ধওয়ার: এমন লড়াই শুধু পারেন মায়েরাই। তাই অন্তত একটা জায়গায় পৃথিবীর সব মা একই রকম। সন্তান স্নেহে মায়ের থেকে বড় আর কেউ নয় । সন্তানকে এই পৃথিবীর আলো দেখানো যতই কঠিন হোক না কেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে মা একাই সেই লড়াইয়ে নামেন। মাতৃ দিবসের সংজ্ঞা যে মা জানেন না, তিনিও সন্তানকে আগলে রাখতে কোনও অংশ কম যান না । যেমন, লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে মরিয়া এই মা। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা রাকেশ আর শকুন্তলার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলায় । রুজির সন্ধানে তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন নাসিকে । সেখানে ভালই চলছিল তাঁদের। বাধ সাঁধল লকডাউন । কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভিন রাজ্যে দিন যেন আর কাটছিল না। এ দিকে বাড়ি ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ । ট্রেন, বাস কবে চালু হবে তার ঠিক নেই । পথ বলতে একমাত্র ভরসা রাস্তা । এদিকে শকুন্তলা গর্ভবতী । এই অবস্থায় এত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা প্রায় অসম্ভব। তবু উপায় না পেয়ে শকুন্তলাকে নিয়ে সেই অবস্থাতে নিয়েই হাঁটতে শুরু করেন রাকেশ ।
কিছুটা রাস্তা অতিক্রম করতেই প্রসববেদনা ওঠে শকুন্তলার। সন্তানের জন্ম দেন তিনি। রাকেশ জানান, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মাত্র ২ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। তারপর ফের হাঁটা শুরু করেন । মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া সেন্ধওয়ার কাছে আসার পর পুলিশের নজরে পড়েন যান তাঁরা। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাবারদাবার দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।