#রাজস্থান: দেশে করোনা ভাইরাস থাবা বসানোর পর থেকে বদলে গিয়েছে মানুষের জীবন। বাইরে ঘুরছে ভাইরাস। বাড়িতে বন্দি মানুষ। লকডাউনে আটকে থাকতে হয়েছে দীর্ঘ দিন। সব সময়ের সঙ্গী হয়েছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। যেহেতু এখনও ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন আসেনি, তাই সতর্কতা মানা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। তবুও মাস্ক পরে থাকতে যেন আমাদের মন চায় না। মনে হয় দম আটকে আসছে। অভ্যেস না থাকলে যা হয় আরকি। নাকের মাস্ক কখনও ঝুলছে গলায়, আবার কখনও কানে। এই ছবিই বেশিরভাগ জায়গায় চোখে পড়ছে। কিন্তু এতে তো বিপদ বাড়বে বই কমবে না। তবে এই সব কিছুর উর্দ্ধে রাজস্থানের হরিশঙ্কর গুর্জর।
কেন? কারণ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তিনি মাস্ক পরেই বাইরে যান। করোনা কোথায় তখন? তার আগে থেকেই নাক মুখ ঢেকে থাকত মাস্কে। একদিনের জন্যও মাস্ক ছাড়া তাঁকে দেখা যায়নি। কিন্তু কেন কোনও কারণ ছাড়া মাস্ক পরে থাকতেন রাজস্থানের বুন্দির হরিশঙ্কর গুর্জর? তাঁকে পরশ্ন করে জানা যায়, ২৬ বছর আগে তিনি কিডনির অসুকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন ডাক্তাররা তাঁকে ধুলো থেকে বেঁচে থাকতে বলেছিলেন। আর সেই থেকেই মাস্ক তাঁর সঙ্গী। এমনকি বাড়িতেও মাঝে মধ্যে মাস্ক পরেই থাকেন তিনি।
তাঁর পরিবারের লোকেদেরও অনেকবার মাস্ক পরে বাইরে যেতে বলেছেন তিনি। কিন্তু সে সময় তাঁর কথা কেউ শোনেননি। তবে এখন বাধ্য হয়ে সারা দেশের মানুষকেই পরতে হচ্ছে মাস্ক। রাজস্থানের সকলে এই ব্যক্তিকে এখন মাস্ক ম্যান নামেই চেনে। সকলের জন্য তিনি এখন ইনস্পিরেশন। তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি, এমন একটা দিন সত্যিই আসবে যখন মানুষ মাস্ক ছাড়া থাকতে পারবে না। করোনা কবে যাবে, বা আদৌ যাবে কিনা তা জানা নেই। অন্য আর পাঁচটা ভাইরাসের মতো হয়ত থেকে যাবে। তাই মানুষের জন্য মাস্ক এখন সব সময়ের সাথি। মাস্ক ছাড়া জীবন ভাবা সম্ভব নয়। তবে মাস্ক পরে বাইরে যাওয়া সব সময় ভালো। এতে শুধু নিজের না অন্যের স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখা যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Mask man, Rajasthan