#চেন্নাই: কেরালায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে বাজি ভরা ফল খাইয়ে খুন, তীব্র নিন্দায় সোচ্চার হয়েছিলেন দেশের বহু বণ্যপ্রাণপ্রেমী। সেই ক্ষত শুকনোর আগেই বারবার সামনে আসছে একাধিক নৃশংসতার ছবি।
তামিলনাড়ুর ত্রিচিতে মাংসের টোপে বোমা ভরে খাইয়ে মারা হল শিয়ালকে। মাংসে প্রথম কামড়টা বসাতেই মুখের ভিতর ফেটে যায় বোমা, উড়ে যায় প্রায় গোটা মুখই। বনদফতরের এক আধিকারিক জানান, '' মধু সংগ্রহ করতে গ্রামে গিয়েছিল ১২জনের একটি ভবঘুরের দল। তখনই তারা শিয়ালটিকে দেখতে পায়, মাংস ও দাঁতের লোভে মারার ফন্দি আঁটে । এরপর টোপ হিসেবে মাংসের ভিতর বোমা ভরে শিয়ালটিকে খেতে দেয়। মাংসে কামড় বসাতেই মুখের ভিতর বিস্ফোরণ হয়। শিয়ালটির ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়। '' তিনি আরও জানান, '' ব্যবহৃত বোমাকে বলা হয় 'পেঁয়াজ বোমা', দিওয়ালির সময় ফাটানো হয়, হালকা চাপ পড়লেই ফেটে যায় এই জাতীয় বোমা।''
ইদানীং মানুষের মধ্যে পশুহত্যার নেশাটা বড় বেশি চাগাড় দিয়েছে!শুধু হাতি বা শেয়ালের ঘটনায় ইতি নয়, রবিবার অসমের চাচর জেলায় একটি জলের ট্যাঙ্কে ১৩ টি বাঁদরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। অনুমান, বাঁদরগুলিকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, সোমবার কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের উল্লুরে একটি কুকুরকে মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একটি লাল রঙের টেপ দিয়ে কুকুরের মুখ আটকে দেওয়া হয়েছিল, দীর্ঘদিন এই অবস্থায় ছিল কুকুরটি। মুখ বাঁধা থাকায় বেচারি জলটুকুও খেতে পারছিল না!