#হুগলি: আবার মানুষের পাশবিক অত্যাচারের শিকার এক নিরীহ পশু। স্ত্রীর সঙ্গে বচসার সময় পথকুকুরের চিৎকার সহ্য করতে না পেরে সেই রাগে কুকুরটিকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ।
হুগলির পোলবার পূর্ণ হাঁসদা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা। হাঁসুয়া দিয়ে কুকুরটিকে এলোপাথাড়ি কোপানোর ফলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পরে কুকুরটি। হাঁটার ক্ষমতা হারায়।খবর পেয়ে চন্দননগরের পশুপ্রেমী সঞ্চিতা পাল ঘটনাস্হলে এসে পৌঁছন৷ তিনি কুকুরটির চিকিৎসা করেন। সারা শরীরে প্রায় তিরিশটি সেলাই পরে। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পূর্ণ হাঁসদাকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে এরইমধ্যে কেরলে পথ কুকুরের ওপর মর্মান্তিক অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ দু’সপ্তাহ আগে থিসুরের পশু সুরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষেবা কেন্দ্রের একটি ফোন আসে। যেখানে বলা হয়, উল্লুরে একটি কুকুর রাস্তায় মুখ বাঁধা অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। খেতে পারছে না, জলও মুখে নিতে পারছে না। জানানো হয়, একটি লাল রঙের টেপ দিয়ে কুকুরের মুখ আটকে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় থাকার কারণে কুকুরটি ভয়ানক যন্ত্রণায় রয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী দল। সেই জলের এই সদস্য জানিয়েছেন, কুকুরের বয়স তিন বছর। তাঁরা প্রথমে কুকুরটিকে দেখে মনে করেছিলেন, তার মুখ বাঁধা একটি টেপ দিয়ে। কিন্তু না, পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, একাধিক টেপ দিয়ে শক্ত করে কুকুরের মুখ বাঁধা রয়েছে। এতটাই শক্ত করা হয়েছে যে কুকুরটির মুখে টেপটি বসে গিয়েছে। গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। এই কারণে হয়ত দীর্ঘদিন কুকুরটি খেতেও পারেনি। খুলে দেওয়ার পর চিকিৎসা শুরু করার মুহূর্তেই কুকুরটি নাকি একসঙ্গে দু’লিটার জল খায়। চিকিৎসায়ও সাহায্য করে সে। কিন্তু এমন ভাবে শক্ত করে তার মুখ বাঁধা ছিল যে টেপ চামড়া কেটে বসে গিয়েছিল। মাংস বেরিয়ে এসেছিল মুখের।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করার পর কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কুকুরটির চিকিৎসা করা হয়। প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। আপাতত সেটি সুস্থ অবস্থায় আছে। কারণ, কুকুর দীর্ঘদিন অভুক্ত থেকেও বেঁচে থাকতে পারে। তবে উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্ভবত একটি পোষা কুকুর, কারণ এর কলার আছে। মনে করা হচ্ছে, ক্রমাগত ডাকার অপরাধেই তাঁর মুখ বেঁধে এমন শাস্তি দিয়েছে কেউ!