#তেলঙ্গানা: বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও চালক ঠিক সময়ে বাস থামাননি। তাই আর প্রস্রাবের বেগ সামলাতে না পেরে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন জনৈক প্রৌঢ়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কোদঙ্গল পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর প্রভাকর রেড্ডি জানিয়েছেন যে এই মর্মন্তুদ ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার বিকারাবাদ জেলায়। যে প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘটেছে, তাঁর নাম পি রামুলু। দৌলতাবাদ মণ্ডলের তিমারেড্ডি পল্লীতে তাঁর বাসস্থান। পুলিশ জানিয়েছে যে এই দিন রামুলু রাবলপল্লী গ্রাম থেকে মুম্বইগামী একটি দূরপাল্লার বাসে চড়েছিলেন। কিন্তু বাস ছাড়ার আধঘণ্টার মধ্যেই প্রৌঢ় মানুষটি প্রস্রাবের বেগে কাতর হয়ে পড়েন।
এই প্রসঙ্গে বাসচালক জানিয়েছেন যে যন্ত্রণায় কাতর রামুলু বার বার তাঁকে বাস থামানোর অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে জনবহুল এলাকায় আচমকা বাস থামানো সম্ভব ছিল না। তাই তিনি অনুরোধ করেছিলেন- রামুলু যেন একটু সহ্য করে নেন পরিস্থিতি, ফাঁকা জায়গা পেলেই তিনি বাস থামাবেন।
কিন্তু চালকের ভরসায় আর অপেক্ষা করতে পারেননি রামুলু। যখন তিনি বুঝতে পারেন যে পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, বাসের ভিতরটা নোংরা হয়ে যেতে পারে, তখন আর থাকতে পারেননি তিনি। মরিয়া হয়ে বাসের দরজা খুলে লাফ দেন। কিন্তু লাফিয়ে দূরে গিয়ে পড়ার সামর্থ প্রৌঢ়ের ছিল না। ফলে লাফ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাসের চাকার নিচে গড়িয়ে যায় তাঁর দেহ, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দূরপাল্লার বাসগুলোতে যে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে টয়লেটের ব্যবস্থা থাকে না, সেই ঘটনাটি এর আগেও বিপদ ডেকে এনেছে। সুরাত থেকে মুম্বইগামী এক প্রাইভেট বাস-মালিক এর জন্য ইতিপূর্বে জনৈক যাত্রীপরিবারকে ১৫ হাজার টাকা খেসারত দিতেও বাধ্য হয়েছিলেন। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের এই ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। জানা গিয়েছিল যে প্রস্রাবের বেগ সামলাতে না পেরে বাসের মধ্যেই একটি প্লাস্টিক ব্যাগে এক মহিলা মূত্রত্যাগ করতে বাধ্য হন; বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও চালক বাস থামাননি!
সেই ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ ১০ বছর! কিন্তু বাস-মালিকরা যে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি, তা নতুন করে প্রমাণ করে দিল রামুলুর মৃত্যুর ঘটনা!