#বেঙ্গালুরু: দেখা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল সেখানেই। দু'জনেই উত্তরপ্রদেশের মানুষ। ফলে ভাবও জমেছিল বেশ। আর সেখান থেকেই বান্ধবীর জন্মদিনে উপহার নিয়ে পৌঁছেছিলেন যুবক। কিন্তু ভাগ্যে কী আছে, তিনি জানতেন না। তাই বান্ধবীর সঙ্গে কাটানোর বদলে সেই রাত তাঁকে কাটাতে হল জেলে।
উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা সলমন। বয়স ২১। বর্তমানে কর্মসূত্রে তিনি থাকেন বেঙ্গালুরুতে। মেকানিকের কাজ করেন তিনি। বেশ কিছু দিন আগে তাঁর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির এক কিশোরীর। তারই জন্মদিন ছিল রবিবার। সলমন বান্ধবীকে সারপ্রাইজ দিতে তার জন্য টেডি বিয়ার, চকোলেট ও অন্যান্য গিফট নিয়ে উত্তরপ্রদেশ যান। প্রায় ২০০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ওই কিশোরীর বাড়ি পৌঁছন তিনি।
কিন্তু বাড়িতে পৌঁছাতেই ঘটে বিপত্তি। তাঁকে চিনতে পারেন না কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। ফলে তাঁকে কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে দেন না তাঁরা। বেশি জোর করলে, কিশোরীর বাবা-মা স্থানীয় পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সলমনকে নিয়ে যায় থানায়। রবিবার রাত বান্ধবীর সঙ্গে কাটানোর পরিবর্তে তাঁকে কাটাতে হয় জেলে।
সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। যদিও ওই কিশোরীর বাড়ির তরফ থেকে কেউ কোনও FIR দায়ের করতে চাননি। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক সুনীল কুমার সিং জানিয়েছেন, সোমবার ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত বন্ডে। তাঁর কাছ থেকে কিছু টাকা ও ১১ তারিখে বেঙ্গালুরু ফেরার টিকিট পাওয়া গিয়েছে। কিশোরীর পরিবারের অনুরোধ অনুযায়ী, এমন ঘটনা যেন আর তিনি না ঘটান তার জন্য হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরী বা তার পরিবারের তরফে সংবাদমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি। তবে, পুলিশ জানিয়েছে, এমন অযাচিত ঘটনায় প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিল কিশোরীর পরিবার। সলমনকে না চিনতে পারায় কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি তারা। কিন্তু অচেনা একজন এই ভাবে গিফট নিয়ে আসায়, তাতে কী আছে, না জানায় পুলিশকে খবর দেন তাঁরা।
এ বিষয়ে যুবকের তরফেও আর কিছু জানা যায়নি। তিনি কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি সংবাদমাধ্যমের সামনে।