#ভোপাল: লকডাউনে কর্মহীন। আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটছে। এমতাবস্থায় টাকা ধার করে, সেখান থেকেই দু'-মিটার কাপড় কিনে দর্জিকে অন্তর্বাস বানাতে দিয়েছিলেন। যথাসময়ে তা বানিয়েও দেন দর্জি। কিন্তু সেই অন্তর্বাস পরতে গিয়ে দেখেন তা ছোট হচ্ছে। তার পরই অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন মাঝবয়সী কৃষ্ণকুমার দুবে। গোটা ঘটনার নিষ্পত্তির জন্য পুলিশ তাঁকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিদ্ধি জেলার বাসিন্দা কৃষ্ণকুমার দুবে (৪৬)। গত অক্টোবরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পেয়ে ভোপালে আসেন। সেখানে ৯০০০ টাকা বেতন পেতেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দেশ জুড়ে জারি হওয়া লকডাউনে কাজ হারান।
কৃষ্ণকুমার দুবে জানিয়েছে, দরকারি কিছু জিনিস কেনার জন্য এক বন্ধুর কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা থেকেই দু’মিটার কাপড় কিনেছিলেন অন্তর্বাস বানানোর জন্য। দর্জিকে সেই কাপড় দেন সঙ্গে মজুরি বাবদ ১৯০ টাকা। কিন্তু ডেলিভারি নেওয়ার পর বাড়ি ফিরে সেই অন্তর্বাস পরতে গিয়ে তিনি দেখেন তা অনেকটাই ছোট হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, "ছোট করে বানিয়ে দেওয়া অন্তর্বাস পুনরায় সেলাই করার আবেদন জানিয়েছিলাম ওই দর্জিকে। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি। তাই পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।"
ভোপালের ওই ব্যক্তির অভিযোগ, "দর্জিকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানিয়েছিল কাপড় যথেষ্ট পরিমাপে ছিল না। কিন্তু আমি তাঁকে দু’মিটার কাপড়ই দিয়েছিলাম।’’এই ঘটনার পরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। হবিবগঞ্জের পুলিশ অবশ্য তাঁকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও তা আর যেতে হয়নি কৃষ্ণকুমার দুবেকে। কারণ দর্জি তাঁকে অন্তর্বাসের টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন।
Published by:Shubhagata Dey
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।