#নয়াদিল্লি: ডেটিং অ্যাপে অনেকেই প্রোফাইলে নিজের ছবি ব্যবহার করেন না! সেই দিক থেকে বোনের সঙ্গে কথাবার্তা হতেই পারে! কিন্তু তার বেশি দূর ঘটনা গড়ানো সম্ভব নয়। তাহলে কেন আতঙ্কে ভুগছেন ইউনাইটেড স্টেটসের ওরিগনের বাসিন্দা বছর চব্বিশের জেভ ফোর্স (Zave Fors)?
ঘটনাটা অনেকের কাছে হাসির মনে হতেই পারে! কিন্তু জীবন এক করুণ পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে জেভকে। তিনি জানতে পেরেছেন যে তাঁর বাবা একজন পেশাদার স্পার্ম ডোনার; জীবনে না হোক ৫০০ বার শুক্রাণু দান করেছেন সেই ভদ্রলোক!
সংবাদসংস্থা Mirror-এর কাছে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জেভ। বলেছেন যে তিনি খুব ছোট থেকেই তাঁর বাবার পেশা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। সিঙ্গল মায়ের সন্তান হিসেবেই বড় হয়েছেন জেভ, মা তাঁকে সব কথাই খুলে বলেছিলেন। বড় হওয়ার পরে বাবার বিষয়ে জেভের বিশদে জানতে ইচ্ছা হয়। তখন ওই দেশের Ancestry নামের এক ওয়েবসাইটে নিজের প্রোফাইল রেজিস্টার করান জেভ। এই ওয়েবসাইট দেশের বাসিন্দাদের কাছে তাঁদের বংশসূত্রটি উন্মোচিত করে।
আর তার পর থেকেই শুরু হয় জেভের মানসিক টানাপোড়েন। তিনি জানিয়েছেন যে Ancestry তাঁর কাছে ভাইবোনেদের একটা হিসেব পেশ করেছে। সেই মোতাবেকে তাঁর ভাইবোনের সংখ্যা সাকুল্যে ৫০টি! জেভ বিশদে খোঁজখবর করতে গিয়ে জানতে পারেন যে তাঁদের মধ্যে এক ভাই তাঁর স্কুলেরই সহপাঠী ছিলেন, তাঁর নাম ড্যারন ম্যাক্লেনন কোলোন (Daron McClennan-Colon)। বাকিরা কারা, সেই তথ্য এখনও পুরোটা উদ্ধার করে উঠতে পারেননি তিনি।
ফলে, একটা তীব্র মানসিক অস্বস্তিতে রয়েছেন জেভ। তাঁর ভয়- ডেটিং অ্যাপে যে মেয়ের সঙ্গে আলাপ হবে, যাঁর সঙ্গে তাঁর শারীরিক অন্তরঙ্গতা তৈরি হবে, তিনি যে বোন নন, এই ঘটনা কী করে বোঝা যাবে! জেভ জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত তিনি মোট ৮ জন ভাইবোনের পরিচয় উদ্ধার করতে পেরেছেন। কিন্তু তাতে তাঁর সমস্যা বেড়েছে বই কমেনি!
জেভ আরও জানিয়েছেন যে খুঁজে খুঁজে বাবার ঠিকানাও বের করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার ঘটনা মোটেই সুখের নয়। ওই ভদ্রলোক ছেলেকে বলতে দ্বিধাবোধ করেননি যে তিনি শুক্রাণু দান করতেন মূলত টাকার জন্য! পাশাপাশি, বিয়ে না করেই তাঁর একাধিক সন্তানের জনক হওয়ার বাসনা ছিল, তাই এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি!