হোম /খবর /দেশ /
ভয়ঙ্কর! রাত হলেই হস্টেলে প্রেতিনীর অট্টহাস্য... মেডিক্যাল কলেজে হাড়হিম ঘটনা

Viral | ভয়ঙ্কর! রাত হলেই হস্টেলে প্রেতিনীর অট্টহাস্য... মেডিক্যাল কলেজের আসল সত্যিতে গা শিউরে ওঠে আজও

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পুলিশের দাবি, কেউ ব্লু-টুথ স্পিকারের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কণ্ঠস্বর বাজিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

কলকাতা: মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলে রাত হলেই শুরু হচ্ছে অট্টহাসি। পরিস্থিতি এমনই যে ভয়ে ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে ছাত্ররা। এমন ঘটনার মুখোমুখী যে হতে হবে তা বুঝতে পারেনি পুলিশও। সেই ঘটনার ভিডিও এই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ছত্তিসগঢ়ের মহাসমুন্দ জেলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হোস্টেলে সম্প্রতি আধিভৌতিক কাণ্ডকারখানা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠছে। আবাসিকদের একাংশের দাবি, রাতের দিকে কোনও মহিলার হাসির ভয়ঙ্কর শব্দ শোনা যাচ্ছে ঘর থেকে। অথচ, গোটা হস্টেলে কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি পুলিশের তদন্তকারী দল হস্টেল পরিদর্শনও করেছে। এমনকী পুলিশের উপস্থিতিতেও হাসির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে দাবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন একটি ভিডিও।

আরও পড়ুন – ১৭ দিনে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের বেশি অতিক্রম, জনসংযোগ যাত্রায় নজির অভিষেকের

মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডা. ইয়াসমিন খান গোটা বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভাইরাল ভিডিওটির বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হবে। এসবই গুজব। কে বা কারা এধরনের গুজব ছড়িয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ গুজবে কান না দিয়ে ভয় এড়িয়ে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে ছাত্রাবাসে থাকতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মহাসমুন্দ জেলার পুলিশ সুপারকেও গোটা ঘটনাটি জানান হয়েছে।

মহাসমুন্দের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলে মোট ৫৪ জন আবাসিক থাকেন। তবে গ্রীষ্মের ছুটিতে বেশির ভাগ ছাত্রই বাড়ি চলে গিয়েছেন। যে রাতে এই ঘটনা ঘটে, সে রাতে ছাত্রাবাসে মাত্র ৫-৬ জন ছাত্র ছিলেন। তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান যে হস্টেলে ভীতিকর শব্দ হচ্ছে।

আতঙ্কিত আবাসিকরা ঘর খালি করে দিয়েছে। এই ঘটনার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে পুলিশের একটি দলকে হস্টেলে ঢুকতে দেখা যায়। সেই সময়ও হাসির শব্দ শোনা যায় ভিডিওতে।

গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মহাসমুন্দ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ রাও বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে হস্টেলে যাই। যেখান থেকে আওয়াজ আসছে বলে অভিযোগ ছিল সেখানে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ৫-৬ জন আবাসিক ছিলেন। একটি ঘরে একটি টিভি এবং একটি স্পিকার পাওয়া গিয়েছে, যা ব্লু-টুথ দিয়ে সংযুক্ত করা যেতে পারে।’ পুলিশের দাবি, কেউ ব্লু-টুথ স্পিকারের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কণ্ঠস্বর বাজিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

First published: