#মধ্যপ্রদেশ: সবারই একদিন সময় আসে, পশু হোক কিংবা মানুষ! সকলেরই আসে কিনা বলা মুশকিল, তবে জ্যাকির জীবনে যে সেই দিন এসেছে তা বলাই যায় । সম্পত্তি নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে ছেলে মেয়েদের পারিবারিক কলহ, এ খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু সন্তানের উপর রেগে নিয়ে নিজের খানিক সম্পত্তি পোষ্যের নামে করে দেওয়ার ঘটনা কিন্তু বিরল। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। সম্প্রতি সেখানকার এক ব্যক্তি তাঁর সন্তানের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পর একটি উদ্ভট মামলায় নিজের সম্পত্তির একটি অংশ তাঁর পোষ্য জ্যাকির নামে লিখে দিয়েছেন। আর তাতেই তাজ্জব সকলে।
বয়স ৫০, পেশায় কৃষক ওই ব্যাক্তির নাম ওম নারায়ণ বর্মা। যিনি মধ্যপ্রদেশের ছিনদোয়ারা জেলার বারিবাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কিছু দিন ধরেই তিনি ছেলের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তাই ওই ব্যক্তি তাঁর পোষ্য কুকুর জ্যাকির নাম দিয়েছেন ২ একর জমির উত্তরাধিকারী হিসেবে। কৃষকের উইল অনুযায়ী, তাঁর অবর্তমানে বাকি সম্পত্তি যাবে স্ত্রী চম্পার কাছে। যার বয়স এখন ৪৭ বছর। কৃষক একটি হলফনামায় তার ইচ্ছের কথা লিপিবদ্ধ করে পোষ্যকে আইনী উত্তরাধিকারী বানানোর বিষয়টিও তুলে ধরেছিলেন।
তিনি লেখেন, "আমার স্ত্রী চম্পা এবং পোষ্য কুকুর জ্যাকি আমার সেবা করে এবং আমি এখনও পর্যন্ত সুস্থ আছি। উভয়ই আমার কাছে খুব প্রিয়"। এছাড়াও কৃষক লেখেন তাঁর প্রাণের চেয়েও প্রিয় জ্যাকি যাতে কোনও ভাবেই তিনি চলে যাওয়ার পর ঘরছাড়া না হয়। সেই পাকাপোক্ত ব্যবস্থাই তিনি করে যেতে চাইছেন। অবশ্য তিনি উল্লেখ করেছেন যে ১১ মাস বয়সের জ্যাকির পরিচর্যা যে করবে সে ওই জ্যাকির ভাগের জমির অংশটি পাবেন।
তবে গল্পটির মধ্যে একটা মোড় রয়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে যখন ওই কৃষক নিজের উইলের কথা জানান, তখন গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান তাঁকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার কথা বলেন। কৃষক যেন তাঁর উইল বাতিল করে দেন সেই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাঁকে রাজি করান। বর্মাও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন এবং উইল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।