#ভোপাল: ভারতে ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১, মেয়েদের ১৮৷ কেন এই ফারাক? কিসের এই যৌক্তিকতা? এই মর্মেই প্রশ্ন তুললেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান৷ মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর জন্য সওয়াল করলেন শিবরাজ৷
মেয়েদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী 'সম্মান' প্রকল্প চালু করেছেন৷ এই কর্মসূচির উদ্বোধনে এসে শিবরাজ বললেন,"মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স কেন ১৮, যেখানে ছেলেদের ২১৷ আমি বিষয়টা আলোচনার জন্য জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে চাই৷"
শিবরাজ আরও জানিয়েছেন যে, শেষ আট মাসে তাঁর শাসনকালে সেই রাজ্যে মেয়েদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের হার অনেক কমেছে৷ তাঁর দাবি নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ৭১০০ মেয়েকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাকি নিখোঁজদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷
শিবরাজ আরও জানিয়েছেন যে, রাজ্যে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশুদের জন্য একটি রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করতে চলেছেন তিনি৷ প্রতি ১৫ দিন অন্তর সেখানে তদন্তের অগ্রগতি বিস্তারিত তথ্য থাকবে৷ পুলিশ স্টেশনের হাউস অফিসাররা ডিএসপি-র সঙ্গে আলোচনা করে কাজটা সামলাবেন৷
বাল্যবিবাহ এবং নাবালিকাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা রুখতেই বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছিল৷। ভারতের আইনে ১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে তাঁকে অবৈধ ঘোষণা করার কথাও বলা রয়েছে। হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৫ অনুসারে বিবাহযোগ্য বয়স হিসেবে মেয়েদের ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ ধার্য করা হয়েছে৷ ইসলাম ধর্মে যদিও বয়ঃসন্ধিকালীন নাবালকের বিবাহ বৈধ বলেই বিবেচিত হয়।গতবছর অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন যে, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এর জন্য গোটা দেশে সমীক্ষাও চলছে৷ গঠন করা হয়েছে বিশেষ কমিটি। তাদের সুপারিশ বিবেচনা করে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
তবে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানো হলেই যে, তাদের ওপর গার্হস্থ্য হিংসা বা অপুষ্টির হার কত'টা কমবে তা নিয়েও বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান৷ এই দেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সটা রীতিমতো বিতর্কিত হয়ে দাঁড়িয়েছে৷