#কলকাতা: ঘোষণা মতোই বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে গেল লকডাউন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে এই লকডাউন আরও কড়া হাতে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। মু্খ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা জানিয়েছেন। একদিকে যখন রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের গড়ও ১০০০ ছুঁতে চলেছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৪,৮২৩৷ স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত ৮২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ সেই পরিস্থিতিতে রাশ টানতে ফের কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউনের পথেই হাঁটছে রাজ্য। সাতদিনের মেয়াদে চার জেলায় আরেক দফা লকডাউন কার্যকর হওয়া শুরু হল এদিন বিকেল থেকে।
এদিন সকাল থেকেই জেলার একাধিক থানা এলাকায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। বলা হয়, কন্টেইনমেন্ট জোনে যে কড়া লকডাউনের কথা প্রশাসন ঘোষণা করেছে, তা ভঙ্গ করে কেউ যেন বাইরে না বের হন। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে ৩৬টি। উত্তর ২৪ পরগনায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৯৪ টি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগণার তালিকা আরেকবার বিচার করে ঘোষণা করার কথা বলেছেন।
নতুন লকডাউন বিধি:
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, এবার মাস্ক না পড়লে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। মঙ্গলবার সন্ধাতেই জেলায় জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন গাইডলাইন দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখতে হবে এসব এলাকায়। এইসব এলাকায় ঢোকা বেরোনোয় কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন হোম ডেলিভারির মাধ্যমে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাঠাবে বাড়িতে বাড়িতে। এইসব এলাকার মানুষের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক নয়। আপাতত লকডাউন চলবে সাতদিন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্থির হবে পরের রণকৌশল।