#নয়াদিল্লি: ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে (Union Budget 2021) কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রককে ১০০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল ভোট পরিচালনার সামগ্রী কেনার জন্য৷ নির্বাচন কমিশন এই টাকায় ব্যালট ইউনিট, কন্ট্রোল ইউনিট ও 'ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রায়াল ইউনিট' ওরফে ভিভিপ্যাট (VVPATS) কিনবে৷ এছাড়াও এই টাকা দিয়েই ইভিএমগুলির আনুষাঙ্গিক ব্যয় এবং অচল ভোটিং মেশিন ধ্বংস করাও হবে৷ একটি ইভিএম গঠনের জন্য একটি কন্ট্রোল ইউনিট , কমপক্ষে একটি ব্যালট ইউনিট এবং একটি ভিভিপ্যাট কিংবা কাগজের ট্রেইল মেশিনগুলি লাগে৷
অচল ইভিএমগুলিকে নির্দিষ্ট আচরণবিধি মেনেই বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানেই ধ্বংস করা হয়৷ একটি ভোটিং মেশিনের গড় আয়ু ১৫ বছর৷ ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড (বিইএল) ও ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসিআইএল) ইভিএম মেশিন বানায়৷ কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রককে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের খরচপাতির জন্য ১০০ কোটি টাকা আলাদা করে বরাদ্দ করা হয়েছে৷ বাজেটের দলিলে লেখা আছে সাধারণ নির্বাচনের জন্য করা এই খরচ "ক্যারি ফরোয়ার্ড লায়েবিলিটি"র মধ্যেই ধরবে কেন্দ্র৷ ভোটারদের সচিত্র পরিচয় পত্রের জন্য কেন্দ্র আলাদা করে আরও ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছে৷ বলা হয়েছে ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা।
"অন্যান্য নির্বাচনী ব্যয়"-এর অধীনে আইন মন্ত্রককে ৫৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারগুলিকে সাধারণ নির্বাচনী ব্যয় এবং ভোটার তালিকা তৈরি ও মুদ্রণের ব্যয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই নথিতে। পৃথকভাবে, নির্বাচন কমিশনকে ২৪৯.১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া করা হয়েছে। শর্ত দেওয়া হয়েছে ব্যয় এবং নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত ভবনের জন্য জমি ক্রয় ও প্রাক-নির্মাণ কার্যক্রমের জন্য এই টাকা ব্যয় করতে হবে। দ্বারকায় নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত একটি ভবনও তৈরি হচ্ছে৷ যার খরচপাতিও এই টাকা থেকেই হবে৷