#বেঙ্গালুরু: ঘরে ইন্টারনেটের সমস্যা। তাই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গাছবাড়ি বানালেন এক শিক্ষক। এমনই উদ্যোগ চোখে পড়ল বেঙ্গালুরুর মাদিকেরি গ্রামে।
ঠিক কী হয়েছে বিষয়টি?
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে। আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন জারি রাখতে একমাত্র উপায় অনলাইন এডুকেশন। ঠিক সে রকমই শুরু করেছিলেন শিক্ষক সি এস সতীশ (C S Satheesha)। কিন্তু সমস্যা হয় তাঁর ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থায়। সঠিকভাবে নেটওয়ার্ক না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন তিনি। আর তার পরেই গাছবাড়ি বানানোর পরিকল্পনা নেন। মাটি থেকে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে গাছবাড়ি। ফলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা এখন অনেকটাই মজবুত।
সি এস সতীশ একজন ৩৭ বছর বয়সী শিক্ষক। তিনি স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এবং ক্লাস ১ থেকে ক্লাস ৫ পর্যন্ত ছাত্রদের পড়ান।
স্থানীয় এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়াচটাওয়ার। যেগুলিকে ওই এলাকার মানুষরা আট্টাপল্লি (Atta-palli) নামে ডাকেন। চাষের জমিতে হাতি আক্রমণ করেছে কি না তা জানতেই ওই ওয়াচটাওয়ারগুলি থেকে নজরদারি চালানো হয়। সেখান থেকেই গাছবাড়়ি বানানোর পরিকল্পনা নেন শিক্ষক সি এস সতীশ।
তিনি জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হত। সে কারণে গাছবাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর এতে অনেকটাই সুফল মেলে। এখন ইন্টারনেট সমস্যা অনেকটা দূর হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ১০ হাজার টাকা খরচ করেছি এটা বানাতে। এটার ভিতরে আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।” বাঁশ, একধরনের ঘাস ও পাটের বস্তা দিয়ে পুরো বাড়িটি তৈরি করেছেন তিনি।
গাছবাড়ি বানানোর ফলে খুশি তাঁর ছাত্ররা। পুণ্য নামে এক ছাত্র জানিয়েছে, “আমাদের শিক্ষক খুবই মহান। তাঁর এই কর্মকান্ডের জন্য আমাদের কোনও ক্লাস মিস হচ্ছে না।”
সেখানকার প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রী এস সুরেশ কুমার (S Suresh Kumar) পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “আমি চিফ সেক্রেটারি ও মুখ্যমন্ত্রীকে এবিষয়ে চিঠি লিখেছি, যাতে মালনদ এবং বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ উন্নত করতে বিভিন্ন ইন্টারনেট সংযোগকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি নিয়ে তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।”
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।