নয়াদিল্লি: আবারও বিচারব্যবস্থা নিয়ে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ওড়িশা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির উপস্থিতিতে তিনি বলেন, "দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে নেতিবাচক ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। টুকরে টুকরে গ্যাং-এর বোঝা উচিত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পুনরায় তার গৌরব ফিরে পেয়েছে ভারত।"
গত সপ্তাহে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করতে গিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। অভিযোগ করেন, ভারতের গণতন্ত্রের মূল কাঠামোর উপরে আঘাত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি, সংসদ, সংবাদমাধ্যম এবং বিচার ব্যবস্থার অবমাননা করা হচ্ছে। বিশিষ্ট মহলের মতে, রাহুলের সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়েই এদিন তাঁর নাম না করে সরব হন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জ্বর, সর্দিকাশিতে হুহু করে বাড়ছে শিশুমৃত্যু! বাড়ানো হল বি সি রায়ের PICU বেডের সংখ্যা
মন্ত্রী দাবি করেন, "ভারতের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে জোর করে বিরোধী দলের ভূমিকায় রাখা যাবে না। ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। কারণ, এই গণতন্ত্র আমাদের রক্তে মিশে রয়েছে।"
এদিন পরপর কয়েকটি ট্যুইটও করেন তিনি। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর জন্য ভারত বিরোধী বৈদেশিক শক্তির থেকে এই টুকরে টুকরে গ্যাং সক্রিয় সমর্থন পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে, তাঁরা ভারতীয় গণতন্ত্র, ভারত সরকার, বিচারব্যবস্থা এবং প্রতিরক্ষা, নির্বাচন কমিশন এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলির মতো প্রতিষ্ঠানগুলির উপরে আঘাত হানছে।' পরের ট্যুইটে কিরেন রিজিজু, 'এই সমস্ত টুকরে টুকরে গ্যাং-এর ভালভাবে বোঝা উচিত, নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে পুনর্জীবন ফিরে পেয়েছে ভারত। এর উপযুক্ত জবাব দেবেন ভারতবাসী'।
আরও পড়ুন: কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাবে কে! দিনভর পুলিশ-ইডি টানাপড়েন, সোমবার আদালতে ফয়সলা
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে রাহুল বলেছিলেন, "দেশের গণতন্ত্র বিপদের মুখে রয়েছে। শুধু আমারই নয়, একাধিক নেতার ফোনে পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে।" শুধু তাই নয়, ফোন রেকর্ড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। সাংসদ বলেন, " ভারতে বিরোধীদের উপরে নানা ভাবে চাপসৃষ্টি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করা হয়।"
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধিকে বলতে শোনা যায়, "মহিলাদের গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া এবং সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা খুব একটা খারাপ জিনিস নয়৷ এটা বরং ভাল বিষয়, কিন্তু এই ধরনের কথা বললে মূল বিষয় থেকে সরে যাওয়া হয়৷ কারণ, আমার মতে মোদি ভারতবর্ষের কাঠামোকেই ধ্বংস করে দিচ্ছেন৷ আমাদের দেশকে টুকরো টুকরো করে দিয়ে উনি যদি দু-তিনটে ভাল নীতি গ্রহণ করে থাকেন, সেটাকে আমি ধর্তব্যের মধ্যে নিতে রাজি নই৷" ওইদিন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অভিযোগও আনেন রাহুল।
রাজীব চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।