#নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ঘটে গেল দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। লালকেল্লার বাতাসে ছড়িয়ে গেল এক অদ্ভুত হিংসা আর প্রতিশোধস্পৃহা। তবে এই ঘটনা পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনিক কর্তাদের চোখ খুলে দিল। এটি একটি বড়সড় শিক্ষা হয়ে থেকে গেল তাঁদের কাছে।
নতুন কৃষিবিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তের কৃষক। মাস দু'য়েক ধরে রাজধানীর রাজপথে বিরাট চেহারা নিয়েছে তাঁদের প্রতিবাদ। দিল্লির বুকে পঞ্জাব-হরিয়ানার অগণিত চাষিদের এই প্রতিবাদ-আন্দোলন সভাকে ঘিরে ক্রমে জল্পনাও বেড়েছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন বিরোধীরা। কিন্তু কালকের ঘটনা চরম রূপ নিল। কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে রাজধানীতে ধুন্ধুমার। লালকেল্লা অভিযান যেন এক অদ্ভুত ছবি তুলে ধরল। ইতিমধ্যেই যোগেন্দ্র যাদব, রাকেশ টিকায়েত-সহ মোট দশজন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। রায়ট, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে একের পর এক FIR দায়ের হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও কৃষকনেতাদের ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আটক হয়েছেন অসংখ্য। তাছাড়া জখম হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী।
অবশ্য বিপরীত পরিস্থিতিতেও নিজেদের ধৈর্য আর দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধ তাঁরা সশস্ত্র হয়ে কোনও হিংসাত্মক কাজ করেনি। এক্ষেত্রে অনেকটাই সংযম দেখিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। না হলে বড় কোনও ঘটনা, বলা ভালো আরও একটা জালিয়ানওয়ালা বাগ তৈরি হত। পুলিশ কমিশনার জেনারেল ডায়ারের নির্মম স্মৃতি ফিরে আসত। কিন্তু সেই ফাঁদে পা দেয়নি দিল্লি পুলিশ। খালিস্তানি সমর্থকদের হিংসার কাছেও সংযম দেখিয়েছে। আর পুলিশের এই পরিণত ব্যবহারই সামলে দিয়েছে সামগ্রিক পরিস্থিতি।