#মল্লপুরম: আনন্দে মাতোয়ারা গোটাবাড়ি। কারণ গোটা পরিবারই একই সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছ। না শুনতে ভুল করেননি আপনি। এমনটাই ঘটেছে বাসিন্দা কেরলের মল্লপুরমের মহম্মদ মুস্তাফাপর পরিবারে।
দ্য নিউজ মিনিট সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশজোড়া লকডাউন শুরুর আগেই মহম্মদ মুস্তাফা এবং তার পরিবারের হাতে তাঁদের পরীক্ষার ফল আসে। জানা যায়, তাঁরা উচ্চমাধ্যমিকের সমতুল পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন। বেশি বয়সে পরীক্ষা দিতে যাওয়া, মনে খচখচানি ছিল। ফলে কৃতকার্য হওয়ায় তাঁদের মন আনন্দে ভরে ওঠে। কিন্তু খুশির বাঁধটা ভাঙে এর পরের খবরে। তাঁদের ছেলে শামাসও উচ্চমাধ্যমিকপরীক্ষায় ভাল গ্রেড-সহ উত্তীর্ণ হয়।
৪৩ বছর বয়সি মুস্তাফা মাধ্যমিক পাশ করেই ভাগ্যের সন্ধানে চলে যান আবুধাবি। সেখানে একটি পশু চিকিৎসালয়ে বহু বছর কাজ করেন। দেশে ফিরে নুসাইবাকে বিয়ে করেন তিনি। পরে তাঁর কেরলে ফিরে এসে কেরল স্বাক্ষরকতা অভিযানের খোঁজ পান। পড়া না চালিয়ে যাওয়ার আফশোস ছিল এই দম্পতির। এইবার নতুন করে শুরু করার সাহস জোগায় ছেলেই। তাঁরা ভর্তি হয়ে যান নতুন শিক্ষাক্রমে।
দু'বছর পড়ার ফাঁকে কাজ এবং কাজের ফাঁকে পড়া এই রুটিন চলেছে। নুসাইবা পেয়েছেন৮০ শতাংশ নম্বর। প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন মুস্তাফাও।
মজার কথা হল, গোটা পরিবারকেই এই দু'বছর প়ড়িয়েছেন একই শিক্ষক। তিনজনেরই বিষয় ছিল কমার্স। শামাস এবার চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পড়ার স্বপ্ন দেখেন। এদিকে তাঁর বাবা মাও অ্যাকাউন্টেন্সি পড়া শুরু করে দিয়েছেন।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁদের ঝকঝকে হাসিমুখটা গোটাদেশকে অনেক বড় বার্তা দিয়ে গেল। মুস্তাফা বলছিলেন, "আমরা অনেক বেশি কুন্ঠিত ছিলাম শুরুতে। আত্মীয়স্বজনকে কিছু জানাইনি। আজ আমরা খুশি। আমরা এটুকু বুঝেছি, শেখার কোনও বয়সই হয় না। আর তা নিয়ে কুন্ঠিত থাকাটাও নিছক সংস্কার।"