#কলকাতা: বছরভর লকডাউন। কাজেই দেশের অধিকাংশ ছাত্রের পড়াশোনায় ভরসা স্মার্টফোন। মনদীপের অবশ্য় এসব কিছুই ছিল না। যে বাড়িতে বিদ্যুতই থাকে না নিয়মিত সেখানে স্মার্টফোন তো বিলাসিতা। তাই অনলাইনে ক্লাস করার সৌভাগ্য হয়নি তার। কিন্তু দু চোখে স্বপ্ন জেগে ছিল। ছিল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ। সেই একরোখা মনটাকে সঙ্গী করেই ভূস্বর্গের বাসিন্দা মনদীপ সিং দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯৮.০৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। হাজার প্রতিকূলতার মধ্যে তার এই সাফল্য এখন নেটদুনিয়ায় চর্চার বিষয়।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলার খুদে বাসিন্দা মনদীপ বলেন, এই লকডাউনে আমাকে লেখাপড়ায় সাহায্য করেছিল আমার দাদা। আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের গোলমাল ছিল। আমরা এই আমোরা গ্রামের বাসিন্দারা অনেক সুবিধা পাই না কিন্তু পড়াশোনাটা আমি চালিয়ে গিয়েছিলাম।
মনদীপের বাবা একজন প্রান্তিক কৃষক। বাবাকে চাষের কাজে সাহায্য করত সেও। লকডাউনে আর পাঁচটা দরিদ্র পরিবারের মতোই সংকটে পড়ে মনদীপের পরিবারও। অনলাইন ক্লাস, ডিজিটাল অ্যাসাইনমেন্ট এসব কিছুই করে উঠতে পারেনি সে। কিন্তু হাল ছাড়েনি সে। পাঠ্যপুস্তকগুলি সে একপ্রকার গুলেই খেয়েছিলো। সেই অধ্যাবসায়ই ফুল হয়ে ফুটেছে রেজাল্টে। জম্মু-কাশ্মীর বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল উধমপুর জেলার সব পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম নামটাই মনদীপের। ৯৮.০৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে।
আপাতত মনদীপের লক্ষ্য NEET পরীক্ষার দেওয়া, যাতে সে ডাক্তার হতে পারে। সরকার দরিদ্র ছাত্রদের পাশে দাঁড়াক, এটাই আর্জি মনদীপের। মনদীপের জেদ মনে করাচ্ছে বালক বয়সের বিদ্যাসাগরকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kashmir