নয়াদিল্লি: বিরাট আশা জাগিয়েছিল তাঁরা। দাবি করেছিল বাংলায় 'ইস বার, দোশো পার'। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, মাত্র ৭৭ আসনে জিতেই বাংলায় সন্তুষ্ট থাকতে হল BJP-কে। ক্ষমতা দখল তো দূর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে রীতিমতো পর্যুদস্ত হলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। আর বাংলায় নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে মোদির বিপক্ষ মুখ হিসেবে উঠে এলেন মমতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হল 'বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই', 'BengaliPrimeMinister', 'Didi'। অর্থাৎ, নরেন্দ্র মোদির বিপক্ষে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মুখ এখন মমতাই। তার কারণ অবশ্যই বাংলার নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজেপি নেতাদের কপালে।
২০২২ সালে ভোট রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশে, পঞ্জাব ও গোয়ায়। জানা গিয়েছে, বাংলার ফল মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই শনি ও রবিবার সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শনি ও রবিবারের এই বৈঠকের রিপোর্ট জমা পড়বে নরেন্দ্র মোদির কাছে।
প্রসঙ্গত, পাঁচ রাজ্যে ভোট থাকলেও সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বেজায় চাপে যোগী সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সে রাজ্যে চরম খারাপ ফল করেছে বিজেপি। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তাই এখন থেকেই উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই তৈরি করা হচ্ছে রুটম্যাপ।
এরই মধ্যে যোগী-মোদি সংঘাতের কথাও উঠে আসছে বিজেপির অন্দরে। এমনকী যোগীর জন্মদিনেও কোনও ট্যুইট করেননি নরেন্দ্র মোদি। যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকারের একটি সূত্রের দাবি, প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা না-জানালেও মোদি ও অমিত শাহ, দু’জনেই ফোনে যোগীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু কী নিয়ে সংঘাত? বিজেপি সূত্রে খবর, যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর আস্থাভাজন প্রাক্তন আমলা অরবিন্দ কুমার শর্মাকে ঢোকাতে চাইছেন। কিন্তু তাতে রাজি নন যোগী। আর তা নিয়েই চূড়ান্ত সংঘাতের আবহ উত্তরপ্রদেশে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: JP Nadda