#মুম্বই: নারীদের সমান অধিকার নিয়ে যতই প্রতিবাদ মিছিল করা হোক না কেন, সমাজে আজও কোথাও কোথাও অন্ধকার রয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনায় হতবাক হয়েছে অনেকেই। ৩ বছরের একটি শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার পেন শহরে। অভিযুক্ত আরও একটি ধর্ষণের মামলায় আলিবাগ কারাগারে ছিল এবং এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটানোর মাত্র ১০দিন আগে সে জামিনে ছাড়া পায়। পুলিশের এক কর্তৃপক্ষ কে পি পাওয়ার জানিয়েছেন, মেয়েটি তার পরিবারের সঙ্গে ভাদগাঁওয়ের নিকটবর্তী একটি আদিবাসি অঞ্চলে থাকত। তার বাবা-মা দিন মজুরের কাজ করেন। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে উঠোনে ঘুমোচ্ছিল। তাদের ঝুপড়ির কোনও সঠিক দরজা নেই। পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করে অভিযুক্ত বছর ৩২-এর আদেশ মধুকর পাটিল তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং মেয়েটিকে তুলে নিয়ে একটি স্কুলের পিছনে বিচ্ছিন্ন জায়গায় যায়। সেখানেই সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে হত্যা করে। বুধবার ভোরে মেয়েটির নিথর দেহ স্কুলের পিছন দিক থেকে উদ্ধার কয়া হয়’’। পুলিশের আরও একজন আধিকারিক জানিয়েছেন,‘’মঙ্গলবার ভোর রাতে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা -মা স্থানীয় কিছু লোকজনকে ডেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন এলাকার কিছু লোক জানায় তাঁরা পাটিলকে পাড়ার ভিতর ঢুকতে দেখেছিল। আমরা আমাদের কুকুর স্কোয়াডকেও ডেকেছি এবং পরিস্থিতিগত প্রমাণের ভিত্তিতে, আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এবং শিশু নির্যাতন থেকে যৌন অপরাধ (পোকসো) আইনের আওতায় এই মামলা ফেলা হয়েছে’’। শিশু কন্যাটিকে খুঁজে পাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত অলে ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে এবং পাটিলের সন্ধান চালায়। অবশেষে বুধবার সকালে তাকে তার আস্তানা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আগামীকাল তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। বৃহস্পতিবার পেন বাসিন্দারা এই মর্মান্তিক ঘটনাটির প্রতিবাদ জানায় পুলিশ স্টেশনের সামনে। তাঁরা পথ অবরোধ করে এবং গাড়ি চলাচলে ব্যঘাত ঘটায়। তাঁদের দাবি ছিল এই অপরাধীকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক।