হোম /খবর /দেশ /
ভারতের সবথেকে বড় অস্ত্র লাইসেন্স দুর্নীতি! জড়িত জেলাশাসকরা, তাজ্জব CBI

Biggest Arms Licence Scam: ভারতের সবথেকে বড় অস্ত্র লাইসেন্স দুর্নীতি! জড়িত জেলাশাসকরা, তাজ্জব CBI

মারাত্মক দুর্নীতি

মারাত্মক দুর্নীতি

Biggest Arms Licence Scam: বেআইনি অস্ত্র ডিলারদের সঙ্গে যোগ ছিল কাশ্মীরের একাধিক জেলাশাসকের। ২০১২ থেকে অনেককে বেআইনিভাবে বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কাশ্মীর: যে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ভোটেরও, সেখানেই কিনা দেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র লাইসেন্স দুর্নীতি! তাও আবার সেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক জেলাশাসক। এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে ভূস্বর্গে। সেই অস্ত্র কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় কতটা কাজে লাগানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনি অস্ত্র ডিলারদের সঙ্গে যোগ ছিল কাশ্মীরের একাধিক জেলাশাসকের। ২০১২ থেকে অনেককে বেআইনিভাবে বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।

শনিবার গোটা দিন তল্লাশি চালানোর পর এমনই মারাত্মক তথ্য সামনে এনেছে CBI। অভিযোগ উঠেছে, টাকার বিনিময়ে অভিযুক্ত এই জেলাশাসকেরা মোট ২.৭৮ লক্ষ বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিল। সিবিআই বলছে, ভারতে এটাই বেআইনি অস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত সবথেকে বড় দুর্নীতি।

কাশ্মীরের যে সমস্ত জেলাশাসকদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইএএস অফিসার শহিদ ইকবাল চৌধুরী ও নীরজ কুমার। এই নীরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আরও ৬ জেলার দায়িত্বে থাকার সময় এই অপকর্ম চালিয়েছেন নীরজ। তবে, কোনও জেলাশাসকের বাড়ি থেকে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য নথি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও সিবিআই-এর তরফে দাবি, অন্তত ৩০০০ লাইসেন্স বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অবশ্য এই দুর্নীতিতে সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির দিকে আঙুল বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই দুর্নীতি হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশ্য বিজেপি সিবিআই তল্লাশির মাধ্যমে এই রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে রাজস্থানের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড প্রথমবার এই দুর্নীতি সকলের সামনে আনে। সেই বিষয়ে গত বছরই আইএএস অফিসার রাজীব রঞ্জন সহ দুই অফিসারকে এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। রাজীব রঞ্জনও কুপওয়ারা জেলার ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীন একাধিক বন্দুকের বেআইনি লাইসেন্স বের করেছিলেন। সেই সূত্রেই সামনে এল বিরাট দুর্নীতির রহস্যজাল।

Published by:Suman Biswas
First published: