#বেঙ্গালুরু: এই বিষয়টি নিয়ে আরটিআই (RTI) না হলে হয়তো অনেকেরই ভুল ধারণাটা থেকে যেত। এক ব্যক্তির আবেদনের পরই এই বিষয়টি এখন জলের মতো পরিষ্কার। পথ চলার সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই একাধিক বার হয়েছে। ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স। সেটির ক্রমাগত করে যাওয়া শব্দ ও লাল লাইটের পরেও অনেক সময়ই আমরা গাড়িটিকে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দিই না। কারণ সিগন্যাল ভাঙার ভয় থাকে আমাদের।
কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর থাকা অসুস্থ ব্যক্তিটির প্রাণের মূল্য সেই সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেই মুহূর্তে প্রতিটি শ্বাসের দাম দিতে হচ্ছে তাঁকে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন ঘুরছিল অমরেশের মাথায়। তিনি এ প্রসঙ্গে তথ্য জানার অধিকার আইনে (RTI) মামলা করেন। তারই উত্তরে জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যে, পুলিশ কোনওদিনই সেই গাড়িকে জরিমানা করবে না যেটি অ্যাম্বুল্যান্সটিকে যানজট থেকে বেরিয়ে যেতে পথ করে দিয়েছে।
আসলে, অমরেশের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে চন্দ্রমুখী নিজে স্কুটি চালান। অনেক সময়ই রাস্তায় এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে মাথায় এমন প্রশ্ন এসেছে। অনেক সময় ধরা পড়ার ভয়ে রাস্তাও করে দেননি তিনি। তবে প্রায় তিন বার পথ করেও দিয়েছেন তিনি। সেই সময়ে দু'বার তাঁকে জরিমানা হিসেবে ২ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল। সেই সময় চন্দ্রমুখী বাবার কাছেই সেই জরিমানার টাকা চেয়েছিলেন। এর পরই অমরেশের মাথায় এই প্রশ্ন এসেছিল। ২১ জানুয়ারি জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (ট্রাফিক) বি আর রবিকান্ত গৌড়াকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন অমরেশ। অ্যাম্বুল্যান্সকে যানজট থেকে বাঁচাতে ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙলে কি কোনও জরিমানা করা হবে?
এর পরই ২৮ জানুয়ারি অমরেশের কাছে লিখিত ভাবে জবাব পাঠান জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (ট্রাফিক) বি আর রবিকান্ত গৌড়া। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই সমস্ত ট্রাফিকে জানানো হয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দিতে সিগন্যাল ভাঙলে জরিমানা নেওয়া যাবে না। ২০২০ সালে সিগন্যাল ভাঙার জন্য বেঙ্গালুরুতে ৮ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৬৬টি কেস ফাইল করা হয়েছে।