#নয়াদিল্লি: দুর্ঘটনায় একটি পা হারিয়েছেন এই মহিলা। এখন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তিনি যা করছেন, তাতে অবাক হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। হ্যাঁ, এক পায়েই ভারোত্তোলনে কেরামতি দেখাচ্ছেন এই মহিলা। সত্যি কথা বলতে, জীবনের একাধিক ঝুঁকি এড়িয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছেন তিনি। বিশেষ ভাবে সক্ষম সমস্ত মানুষজনের কাছে যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন, ইচ্ছে আর অদম্য প্রচেষ্টার কাছে জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা হার মানতে বাধ্য।
সম্প্রতি IAS অফিসার প্রিয়াঙ্কা শুক্লা (Priyanka Shukla) তাঁর Twitter-এ মহিলার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেই সূত্র ধরেই রাতারাতি যাবতীয় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিশেষ ভাবে সক্ষম এই মহিলা। তবে তাঁর নাম বা বিস্তারিত পরিচয় জানা যায় নি। কীভাবে তাঁর একটি পা হারালেন, সেই বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। তবে এই রকম অদম্য প্রচেষ্টাকে স্যালুট জানিয়েছেন সকলে। ভিডিওটি শেয়ার করার পর একটি দারুণ ক্যাপশন দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা শুক্লা। তিনি লেখেন, যে নৌকা উন্মত্ত ঢেউকে দেখে ভয় পায়, সে কখনও নদী পার করতে পারে না। যারা চেষ্টা করে, তাদের কখনও হার হতে পারে না।
लहरों से डर कर..नौका पार नहीं होती कोशिश करने वालों की कभी हार नहीं होती ..#MondayMotivation
pic.twitter.com/310rO6PHyw — Priyanka Shukla (@PriyankaJShukla) April 5, 2021
ইতিমধ্যেই ব্যাপক মাত্রায় ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। লাইক, কমেন্টের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শেয়ারও করা হয়েছে ভিডিওটি। মহিলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। আর সেই সূত্রেই জানুয়ারি মাসের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উঠে আসছে। অনেকে সেই ঘটনাটি আবার শেয়ার করেছেন। উঠে এসেছে লাই চি ওয়াই (Lai Chi-wai)-এর কথা। দুর্ঘটনায় শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তবুও সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে এক অদ্ভুত অভিযান করছিলেন হংকংয়ের এই ব্যক্তি। স্পাইনালে কর্ডের সমস্যায় ভোগা রোগীদের সাহায্য করতে হংকংয়ের গগনচুম্বী বিল্ডিং নিনা টাওয়ারের ২৫০ মিটারের বেশি উচ্চতায় উঠে পড়েন। তাও আবার হুইলচেয়ারে। এক্ষেত্রে ১০ ঘণ্টার বেশি ঝুলে থেকে ধীরে ধীরে বিল্ডিংয়ে উঠেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, রক ক্লাইম্বিং সেগমেন্টে চারবার এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ফেলেছিলেন লাই। এক সময়ে বিশ্বের সেরা রক ক্লাইম্বারদের মধ্যে অষ্টম স্থানে ছিলেন তিনি। বছর দশেক আগের একটা গাড়ি দুর্ঘটনায় সব বদলে যায়। লাইয়ের নিচের অংশ এখন আর কাজ করে না। তবুও হুইলচেয়ার চড়েই পুলে সিস্টেমকে (চাকার মধ্যে দড়ি লাগিয়ে একটি নির্দিষ্ট দিকে যাওয়া) কাজে লাগিয়ে ফের ক্লাইম্বিং শুরু করেন এই জেদি প্রতিভাবান মানুষটা।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে ভারোত্তোলনের মধ্য দিয়ে সবাইকে বিস্মিত করে দিয়েছিলেন দেশের এক মহিলা। এক সন্তানের মা হওয়ার পর ২৫৫ কেজির ভারোত্তোলনের মধ্য দিয়ে সোনা জিতে নিয়েছিলেন কাশ্মীরের সাইমা উবেদ (Saima Ubaid)। এই লড়াইয়ের পিছনেও একাধিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। প্রথমে সন্তান হওয়া নিয়ে সাইমার শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। পরের দিকে সন্তান আসে, তবে মেরুদণ্ডে সমস্যা দেখা দেয়। সন্তান হওয়ার পর থেকে সাইমার চিকিৎসকরা তাঁকে ওয়ার্ক আউট থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু সাইমার জেদ তাঁকে হার মানতে দেয়নি। ওজন কমিয়ে ফের ভারোত্তোলনের অনুশীলন শুরু করে দেন। শেষমেশ কাশ্মীর পাওয়ার লিফ্টিং বেঞ্চপ্রেস ও ডেড লিফ্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে নেন তিনি