#গুরুগ্রাম: নাসা-র আর্টেমিস নেক্সট জেন স্টেম মুন টু মার্স অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট চ্যালেঞ্জে জয়ী হল ভারতের এক ছাত্র। এই চ্যালেঞ্জে একটি অ্যাপ তৈরি করতে বলা হয়েছিল। আর এই কঠিন ও সম্মানজনক কোডিং প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে হাই স্কুল ছাত্র আরিয়ান জৈন। এই বছরে নাসার স্পেস কমিউনিকেশনস অ্যান্ড নেভিগেশন (SCaN) থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। বলা হয়েছিল এমন একটি অ্যাপ তৈরি করতে যার দ্বারা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অভিযান ও তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
খবর বলছে যে আরিয়ান একটি টিমের সদস্য, যার নাম টিম ইউনিটি। এই টিমে আরও কয়েকজন স্কুল ছাত্রছাত্রী আছে। এদের নাম হল আনিকা পটেল, অ্যান্ডি ওয়াং, ফ্র্যাঙ্কলিন হো, জেনিফার জিয়ং, জাস্টিন জি এবং বেদিকা কোঠারি। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল পাঁচটি আলাদা বিশ্ব স্কুল যার নেতৃত্বে ছিল আমেরিকার হুইটনি হাই স্কুল। ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ভার্চুয়াল মিটে টিম ইউনিটি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও নাসার দক্ষ টিমের সঙ্গে একটি কর্মশালায় যোগ দেবে।
টিম ইউনিটি কী ভাবে এই অ্যাপ তৈরি করেছে, সেটা অনেকেরই কৌতূহলের বিষয়। ক্রস প্ল্যাটফর্ম গেমিং ইঞ্জিন ব্যবহার করে সেটা প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এই অ্যাপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকও বেশ আকর্ষণীয়। যেমন এই অ্যাপে আছে একটি মিনি ম্যাপ বা ক্ষুদ্র মানচিত্র। এই ম্যাপের সাহায্যে একজন মহাকাশচারী অর্থোগ্রাফিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বুঝতে পারবেন তাঁর প্রকৃত অবস্থান। এই ভাবে দেখলে তিনি যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছেন, সেখান থেকে তাঁর গন্তব্য পর্যন্ত ঠিক কতটা এগিয়েছেন, সেটা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও এই ম্যাপ ব্যাবহার করে মহাকাশচারী একজন প্রথম ব্যক্তি ও তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিষয়টি বুঝতে পারবেন। এই অ্যাপে থ্রি ডি সিন, পাথ ফাইন্ডিং অপশন ও টেরেন টেক্সচারও আছে। লুনার সাউথ পোলেরর তথ্য এই অ্যাপে ব্যবহার হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিজয়ী ছাত্র আরিয়ান জৈন গুরুগ্রামের সান সিটি স্কুলের ছাত্র।
নাসা এখন তাদের মঙ্গল অভিযান নিয়ে ব্যস্ত আছে। নেক্সট জেন স্টেমের একটি অংশ সেই দিকেই ফোকাস করছে। নাসা তাদের যে মিশনের মাধ্যমে চাঁদে প্রথম মহিলা মহাকাশচারীকে পাঠানোর চেষ্টা করছে, এই নেক্সট জেন স্টেম মুন টু মার্স অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট চ্যালেঞ্জ তারই অংশ।