#নয়াদিল্লি: না, কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নয় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। কদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সিসিএস তিরাশিটি তেজস মার্ক ওয়ান কেনার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। আগামী ছয় থেকে সাত বছরের ভেতর সব বিমান বিমান বাহিনীর হাতে এসে পড়ার কথা। এইচ এ এলের সঙ্গে সেভাবেই চুক্তি হয়েছে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। আগেই একুশটি মিগ টোয়েন্টি নাইন এবং এক ডজন সুখোই এম কে আই কেনার ব্যাপারে অনুমোদন দিয়ে রেখেছিল সরকার। এবার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নতুন তেত্রিশটি ফাইটারডেলিভারির ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে কথা হল তাঁদের। আপৎকালীন অবস্থা হিসেবে এই মিগ এবং সুখোই নিচ্ছে ভারত। চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে এক সঙ্গে লড়াই হলে কমপক্ষে ভারতীয় বায়ুসেনার বিয়াল্লিশ স্কোয়াড্রন দরকার। সেই জায়গায় হাতে রয়েছে তিরিশ স্কোয়াড্রন। যার অর্থ প্রায় দুশো পনেরোটি বিমান কম রয়েছে আইএএফে র হাতে।
রাফাল যুদ্ধবিমান এখন পর্যন্ত তিন খেপে মোট এগারোটি এসে পৌঁছেছে। পরের দু'মাসে আরও তিনটি আসার কথা। এবছরের শেষে ছত্রিশ টি রাফাল এসে যাওয়ার কথা বায়ু সেনার হাতে। তবে নতুন মিগ এবং সুখোই কেনার পাশাপাশি রাশিয়ার মিখোয়ান সংস্থাকে দিয়ে হাতে থাকা বাকি মিগ এবং সুখোই আপগ্রেড করাচ্ছে ভারত। এর ফলে এই বিমানগুলির অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনই আধুনিক ইলেকট্রনিক যুদ্ধের সরঞ্জাম লাগানো হবে। ব্রহ্মস মিসাইল ছাড়া যাবে মিগ এবং সুখোই থেকে।
এছাড়াও ভারতের লক্ষ্য পরের দু বছরের ভেতর বাইসন বিমান বাতিল করে দেওয়ার। একশো চোদ্দো ফাইটারের জন্য টেন্ডার আগেই ডেকেছে ভারত। রাফাল ছাড়াও লড়াইয়ে আছে মার্কিন হর্নেট এবং এফ একুশ, রাশিয়ার মিগ পঁয়ত্রিশ, ইউরোফাইটার টাইফুন এবং সুইডেনের গ্রিপেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফাইটার বিমান কেনার টেন্ডার শেষপর্যন্ত কোন দেশ বাজিমাত করে সেটাই দেখার। তবে আপাতত এই মিগ এবং সু খো ই যে শত্রুদের ঘুম কেড়ে নেবে সেটা বলাই যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IAF