গত ৬ জুন দুই দেশের সেনা বাহিনীর কম্যান্ডর স্তরে আলোচনা হওয়ার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দু' দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা কিছুটা কমেছে৷ বুধবার থেকেই মেজর জেনারেল স্তরে ফের দু' পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা৷ তার আগে অবশ্য গালওয়ান এলাকার ১৪, ১৫ এবং হট স্প্রিং এলাকার ১৭ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট থেকে ২ থেকে ২.২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পিছিয়ে এসেছে দু' দেশের সেনা৷
সরকারের একটি শীর্ষ সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, 'পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি সংঘাতের আবহ কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ কিন্তু আমরা চাইছি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন তাদের মোতায়েন করা অন্তত দশ হাজার সেনাকে সরিয়ে নিক৷ সংঘাত এড়ানোর পদক্ষেপ করা চলতেই পারে, কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত চিন তাদের দিকে সীমান্তের গা ঘেঁষে রাখা ট্যাঙ্ক, কামান এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত ভারী যানবাহন এবং বিপুল সংখ্যক সেনা সরাচ্ছে, ততক্ষণ উত্তেজনা কমবে না৷'
ওই সূত্রই জানিয়েছে, চিন বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করার পর পাল্টা প্রস্তুতি হিসেবে ভারতও লাদাখে দশ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল৷
আগামী দশ দিনে দু' দেশের বাহিনীর মধ্যে আরও কয়েক দফা আলোচনা হওয়ার কথা৷ ব্যাটেলিয়ন, ব্রিগেড এবং মেজর জেনারেল স্তরের আলোচনায় ভারতের পক্ষ থেকে এই বিষয়গুলি তোলা হবে৷ সূত্রের খবর, মুখোমুখি আলোচনার পাশাপাশি দু' দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাটেলিয়ন কম্যান্ডর স্তরে হটলাইনেও কথা চলছে৷
শুধু বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করাই নয়, নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে হোটান এবং গার গুনসা এয়ার বেস-এ ফাইটার এবং বোমারু বিমান এনে রেখেছে চিন৷ সীমান্তের ওপারে চিনের এই সমস্ত পদক্ষেপেই উদ্বিগ্ন ভারত৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।