#নয়াদিল্লি: করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতির হাল ফেরাতে সরকার যে বদ্ধপরিকর, সে কথা এর আগে এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি একরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের যে বাজেট ১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা হবে, তাতে এই বিষয় সম্পর্কে কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার। এর মাঝে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরল মাদ্রাজ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
মাদ্রাজ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এক্ষেত্রে সরকারকে মূলত দুই রকমের বন্ডের উপরে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য ইনফ্রা বন্ড খাতে ব্যয় বাড়ানোর দিকটি তুলে ধরেছে এই সংগঠন। পাশাপাশি, আগের বছরের বাজেটে এই সংক্রান্ত যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেওয়া হয়েছিল, তা শীঘ্র পূরণ করার জন্যেও সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা।
মাদ্রাজ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট শ্রীবৎস রাম জানিয়েছেন যে গত বছরে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বিশদ কর্মসূচীর যে উল্লেখ করেছিলেন, তার অনেকগুলোই এখনও অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সুতরাং, নতুন পদক্ষেপের আগে সরকারের সেই সব অসমাপ্ত কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করার দিকে মনোযোগ দেওয়াটাই ঠিক হবে।
তিনি আরও বলেছেন যে ইনফ্রা বন্ডগুলোর আওতায় যে সংস্থাগুলো রয়েছে, তার পরিমাণ খুব একটা বেশি নয়। সুতরাং, সরকারের তা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে তহবিল সংক্রান্ত সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য তিনি সরকারকে ১৫ বছরের ইনফ্রা বন্ড বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও একটি কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি। সেটা ইনফ্রা বন্ডগুলোর সীমাবদ্ধতার দিকনির্দেশ করছে।
রাম জানিয়েছেন যে এই ইফ্রা বন্ডগুলো যৌথ ভাবে বা একক দিক থেকে সরকারের তহবিল গড়ে তোলার পক্ষে খুব একটা সমর্থ নয়। তবে তহবিলে যে জায়গাগুলোয় ফাঁক থেকে যাচ্ছে, তা ভরাট করার পক্ষে এদিকে নজর দেওয়া যেতেই পারে।
এর ঠিক পরেই রামের বক্তব্যে উঠে এসেছে করোনা বন্ড তৈরির কথা। যেহেতু বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে তিনি সরকারকে বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য করোনা বন্ড তৈরির কথা ভাবতে বলেছেন। এক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ- একক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদের হারে ছাড় দেওয়া যেতে পারে।
একই সঙ্গে দেশের ক্ষুদ্রতর, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের দিকেও নজর দিতে বলেছেন তিনি। তাঁর মতামত- যদি এই সংস্থাগুলো মুনাফার ৫০ শতাংশ কর থেকে রেহাই পায়, তা হলে তা ব্যাঙ্কে সঞ্চিত হবে এবং নানা বিনিয়োগের খাতে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া তিনি এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মালয় শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও স্থাপনের দিকটা নিয়ে ভাবতে বলেছেন। তাতে দেশের একটা বড় অংশের কর্মসংস্থানের সমস্যা দূর হবে বলেই তাঁর বিশ্বাস!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Union Budget 2021