#মুম্বই: একজন মূক এবং বধির কিশোরীকে ধর্ষণ ও তাঁকে গর্ভবতী করার অভিযোগে পুলিশ এক ব্যাক্তিকে প্রায় দেড় বছর আগে গ্রেফতার করেছিল। কিন্ত অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও প্রমান না পাওয়ার কারণে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে। সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের একটি রেস্তোরাঁতে কর্মরত ২৫ বছর বয়সী ওই ব্যাক্তিকে ১৭ মাস কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরীক্ষাধীন রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে যে, কিশোরীর গর্ভে যে ভ্রূণ ছিল, তার ডিএনএ ওই অভিযুক্তের সঙ্গে মেলে না। তাই সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত ব্যাক্তির জামিন মঞ্জুর করে।
ঘটনার সূত্রপাত প্রায় দেড় বছর আগে। তারিখটা ছিল ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই, একটি বিশেষ স্কুলে অধ্যায়নরত মূক এবং বধির মেয়েটির হঠাৎই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। কিশোরীর পরিবারের লোক যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, তখন পরীক্ষা করে জানা যায় ওই কিশোরী গর্ভবতী। পুলিশকে এই ঘটনা জানানোর পর কিশোরী ওই প্রতিবেশী অভিযুক্তের দিকে আঙুল তোলে। কিশোরী জানায় তাঁকে দু'বার ধর্ষণ করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্ত এর আগে জামিনের আবেদন করেছিল, তবে তদন্ত জারি থাকায় আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। তবে ডিএনএ রিপোর্ট তার পক্ষে থাকায় অভিযুক্ত আরও একটি জামিনের আবেদন করে যে তাকে ইচ্ছে করে এই ঘটনায় ফাঁসানো হচ্ছে। তবে, প্রসিকিউটশন এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছিল যে অভিযুক্তকে জামিন মঞ্জুর করা হলে সে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করবে। তখন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব প্রমাণ মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ এই বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে। ডিএনএ রিপোর্ট নেতিবাচক আসায়, মামলার মোড় ঘুরে গিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।