#পটনা: রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে এসে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গ ৷ বিহার ভোটের প্রচার মঞ্চ থেকেই সিএএ নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মিথ্যে প্রচার করে ভয়ে দেখিয়েছে বিরোধীরা ৷’ আর্টিক্যাল ৩৭০ থেকে রাম মন্দিরের পর এবার সিএএ ৷ বিহারের নির্বাচনী ময়দান থেকে একের পর এক জাতীয় ইস্যু তুলে বিরোধীদের নিশানা নরেন্দ্র মোদির ৷
রবিবাসরীয় প্রচারে এদিন বিহারে ৪টি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ পশ্চিম চম্পারণের বাঘার সভা থেকে মোদি সিএএ প্রসঙ্গ তুলে প্রশন করেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আসতেই বিরোধীরা প্রচার শুরু করে দেয়, এবার অনেক মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে মোদি সরকার ৷ একবছর কেটে গিয়েছে, আমি প্রশ্ন করছি, কারোর নাগরিকত্ব চলে গিয়েছে? কোনও ভারতীয় কি নিজের পরিচয়, নিজের নাগরিকত্ব হারিয়েছেন? স্বার্থপর বিরোধীরা শুধু ভয় দেখাতে আর মিথ্যেই বলতে পারেন ৷ আর কোনও কাজ ওদের দ্বারা সম্ভব নয় ৷’
একইসঙ্গে তিনি আর্টিক্যাল ৩৭০ এবং রামমন্দিরে কথা তুলে ফের বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির ৷ নাম না করে তিনি বলেন, ‘গোটা দেশের মানুষের সাহায্যার্থে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় আজ তৈরি হচ্ছে রামমন্দির ৷ কিন্তু ভুলে যাবে না তাদের কথা, যারা ভগবান শ্রী রামের অস্থিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল ৷ ’
কখনও রাহুল, কখনও তেজস্বী, ভোট প্রচারের আগাগোড়া মোদির মুখে শোনা গেল শুধুই কটাক্ষ ৷ কখনও তেজস্বীকে জঙ্গলরাজের যুবরাজ বলে তির্যক মন্তব্য করেছেন ৷ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের এনডিএ-এর হয়ে প্রচারে নেমে তুলে আনলেন উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ ৷ ২০১৭ সালে ভোট ময়দানে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস এবং অখিলেশ-মুলায়মের সমাজবাদী পার্টি ৷ কিন্তু ভোটের রেজাল্ট বেরতে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এই নয়া জোট ৷ নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হার ছাড়া কিছুই জোটেনি রাহুল-অখিলেশের জোটে ৷ পুরনো সেই কথাই তুলে আরও একবার মোদি বিঁধলেন মহাজোটকে ৷ বললেন, ‘ভোটের পরে মাটিতে মিশে যাবে দুই যুবরাজ ৷মুখ লুকোবোর ৷’
বিরোধীদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতেও ছাড়েননি মোদি ৷ নির্বাচনী প্রচারের সভা থেকে বিজেপি এবং জেডিইউ-র ‘জোড়া ইঞ্জিন বলে কটাক্ষ করেন তেজস্বী ৷ সেই কটাক্ষের জবাবে মোদির উত্তর, ‘বিহারে যে সরকার চলছে তার দু'টি ইঞ্জিন। অন্য দিকে দুই যুবরাজ। তার মধ্যে এক জন আবার জঙ্গলরাজের যুবরাজ। জোড়া ইঞ্জিনের এনডিএ সরকার বিহারের উন্নয়নের জন্যই কাজ করে, করবেও । কিন্তু দুই যুবরাজ শুধু দায়িত্ব নয়, শুধুই সিংহাসন চায় ৷
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের গেম পেরিয়ে পরবর্তী সরকার বেছে নেবে বিহারের জনগণ ৷ মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ৷ তার আগে শেষ দফায় মোদির এই প্রচারে বাড়ল ভোট ময়দানের উত্তেজনা ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bihar Elections 2020