#নয়াদিল্লি: উৎসবের মরসুম এসে পড়েছে। আর সেই উৎসবের মরসুমে উৎসব পালন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমা হতে পারেন হাজার হাজার মানুষয। সেই জমায়েতের ফলেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস। এমন আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের তরফে করা হয়েছে। সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার কথায় বোঝা গেল, কেন্দ্রীয় সরকারও উৎসব পরবর্তী সময়ে করোনা সংক্রমনের বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন, ‘সানডে সংবাদ’–এর পঞ্চম দফার অনুষ্ঠানে বললেন, পূজা করতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে এক জায়গায় হতে হবে, কোন ধর্ম বা ঈশ্বর এমন দাবি জানায় না। সরকারের চিন্তা যে উৎসবের মরসুমে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা একাধিক স্বাস্থ্যবিধি থাকা সত্ত্বেও অনেকাংশে মানুষ সেটি মানবেন না। যার ফলে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন কেরলের কথা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ এক সপ্তাহে কেরলে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যে দেখা গেছে ৬০% করোনা অ্যাক্টিভ কেস শেষ এক সপ্তাহের তালিকায় যুক্ত হয়েছে কেরলে। শেষ ২৪ ঘন্টায় ন’হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অগাস্ট মাসের ২২ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত সেখানে চলেছে ওনাম উৎসব। সেই উৎসবের ফলেই এই বৃদ্ধি বলে মনে করছেন তিনি।
শুধু কেরল নয় অন্ধ্রপ্রদেশ মহারাষ্ট্র তেলঙ্গানাতেও আগস্টের উৎসবের মরসুম কাটার পরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তিনি জানিয়েছেন। যে সমস্ত রাজ্যগুলির গণেশ চতুর্থী ও ওনাম উৎসব পালন করেছে সেসব রাজ্যগুলিতে উৎসব শেষ হওয়ার পরেই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে তিনি মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর আয়োজনের ফলে অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল হারে বাড়তে পারে।
উৎসবের মরসুমে ঠিক কোন পথে চলা উচিত তাই নিয়ে বিস্তারিত স্বাস্থ্যবিধি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে এবং সেখানে বলা হয়েছে কিভাবে ছোঁয়াচে এড়িয়ে উৎসব পালন করতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Puja-in-corona