#আহমেদাবাদ: প্রাক্তন প্রেমিকা এবং তাঁর এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলের ঘরে ধুকেছিলেন বছর বাইশের এক যুবক। তিনজনে মিলে মাদক নেন। এরপর হোটেল থেকে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে যান তৃতীয় মহিলা। প্রেমিকার সঙ্গে যৌনসঙ্গমে (Sexual intercourse) মেতে ওঠেন যুবক। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মারা যান আহমেদাবাদের (Ahmedabad) ফতেওয়াদির (Fatehwadi) বাসিন্দা সলমন মির্জা! ঘটনাটি ঘটে ২২ জুন।
যে যুবতীর সঙ্গে মৃত্যুর দিন রাতে সলমন মির্জা হোটেলে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল। কী এমন ঘটেছিল সেদিন? তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সলমন মির্জা দুই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে সেদিন হোটেলে চেক-ইন করেন। সেখানে তিনজনে মিলে মাদক (consumed drugs) নেন। এরপর তৃতীয় জন হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। রাতে হোটেলের ঘরে ছিলেন সলমন এবং তাঁর প্রেমিকা। মাদক নেওয়ার পরে দু'জনে সঙ্গমে রত হয়েছিলেন। পুলিশকে সলমনের প্রেমিকা জানিয়েছেন, রাতে যখন নিজেরা ঘনিষ্ঠ হতে চাইছিলেন, তখন তাঁদের হাতের কাছে কোনও নিরোধক (condom) ছিল না। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা ছিল। এমতাবস্থায় মাদক নেওয়ার জন্য কাছে যে আঠা জাতীয় পদার্থ (adhesive) ছিল সেটা দিয়েই পুরুষাঙ্গ সিল করে দেন সলমন। কিন্তু তারপরেই ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়তে শুরু করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, পরের দিন সকালে সলমনের অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করেন তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তি। বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে নিকটবর্তী সোলা সিভিল হাসপাতালে (Sola Civil Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তারপরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একটা একটা করে অঙ্গ বিকল করে মারা যান সলমন। ঘটনার পর সলমনের আত্মঈয় সায়রাবানু মির্জা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সলমনের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, যে আঠা জাতীয় পদার্থ সলমন নিরোধ হিসেবে ব্যবহার করেছিল, তা ধীরে ধীরে তাঁর অঙ্গ বিকল করে দিয়েছিল, তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ahmedabad