#নয়াদিল্লি: আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা। বাজেট প্রস্তুতকারী দল আপাতত পার্লামেন্টের নর্থ ব্লকের বেসমেন্টে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের অর্থনৈতিক উন্নতির রূপরেখাটি স্থির করতে ব্যস্ত। তাঁদের কাজ শেষ হলেই ১ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। তিনি এর আগে এক বিবৃতিতে একরকম প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন যে আসন্ন বাজেট জনসাধারণের জন্য বেশ কিছু চমক নিয়ে আসতে চলেছে। সেই অর্থে এবারের বাজেট জনমনমোহিনী হওয়ার কথা। তার মাঝেই তথ্যসূত্রে উঠে এল খবর- চলতি বছরে সরকার ইন্টারনেট ইক্যুইপমেন্ট আর অ্যাকসেসরিজ, যেমন রাউটার, মোডেম, এগুলোর উপরে শুল্ক এবং কর দুই না কি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি, ইন্টারনেট পরিষেবাও করে তোলা হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি সাশ্রয়ী!
এর আগে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আসন্ন বাজেটে সরকার ওয়ার্ক ফ্রম হোমে বড়সড় কর ছাড়ের ঘোষণা করতে পারে। সেটা কত দূর সম্ভব হবে, তা এখনই জানার উপায় নেই, শুধু জল্পনা জারি রয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবার মূল্য সস্তা হয়ে যাওয়া এবং ইন্টারনেট ইক্যুইপমেন্ট আর অ্যাকসেসরিজের দাম কমে যাওয়ার যে প্রসঙ্গ আপাতত দেশে চাঞ্চল্য ফেলেছে, তা কার্যকর হলে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কর ছাড়ের বিষয়টিও বাস্তবে রূপায়িত হতে পারে।
কেন না, খবর বলছে যে, বরাবরই নানা বিষয় ডিজিটালাইজেশনের দিকে লক্ষ্য রেখেছে মোদী সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে ইন্টারনেট পরিষেবা সুলভ না করে উপায় নেই। পরিসংখ্যান মোতাবেকে, ভারত বিশ্ববাজারে সব চেয়ে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট পরিষেবাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেল, এখানে প্রতি গিগাবাইট ডেটার মূল্য মাত্র ৩ টাকা! কাজেই আগামী বাজেটে ইন্টারনেটের খরচ কমার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষ প্যাকেজ আনা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে কানাঘুষোয়। সেটা হলে সংস্থাগত দিক থেকে একটা সদর্থক বদল আসবে।
এর পাশাপাশি রয়েছে ব্যক্তিবিশেষের উপকারের দিকটিও। ওয়ার্ক ফ্রম হোম সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের এখনও অনেক দিন কাটবে। সেই দিকটার কথা মাথায় রেখে না কি ইন্টারনেট ইক্যুইপমেন্ট আর অ্যাকসেসরিজে শুল্ক আর কর দুই কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে এর দাম কমবে, সাধারণ মানুষের পক্ষে বাড়ি বসে কাজ করার বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে উঠবে।