বেঙ্গালুরু: রাজ্যে একদিকে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, অন্যদিকে অমিল স্বাস্থ্যকর্মী ! এই পরিস্থিতিতেই পেট চালানোর দায়ে চিকিৎসা ছেড়ে অটো চালাচ্ছেন ৫৩ বছরের চিকিৎসক। কারণ ? গত ১৫ মাস ধরে তাঁর বেতন আটকে।
জানা যায়, বল্লারী জেলায় গত ২৪ বছর ধরে স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের অধীনে চাইল্ড হেলথ অফিসারের পদে কর্মরত ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ এমএইচ । কিন্তু বর্তমানে রোজগারের তাগিদে স্টেথোস্কোপ, প্রেশক্রিপশন ছেড়ে দাভানগর শহরে অটোর স্টিয়ারিং ধরতে বাধ্য হয়েছেন ৫৩ বছরের ওই চিকিৎসক।
রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ' ওই আইএএস অফিসার পরে বল্লারী জেলা পঞ্চায়েতের সিইও হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন। তখন থেকেই পুরনো রাগের শোধ তুলতে শুরু করেন।'' তিনি আরও বলেন, '' স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ নিয়ে ওরা একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি বের করে, আমি কোনওভাবেই সেই ভুলের জন্য দায়ী ছিলাম না, তা প্রমাণও করি, কিন্তু তাও গতবছর জুন মাসের ৬ তারিখ আমায় কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনার ৪ দিন বাদে আমি কর্ণাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যালে আবেদন করি এবং সেখানে আমায় পুনরায় বহাল করার রায় দেওয়া হয়। কিন্তু তা করা হয়নি।'' সেই সময় চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ সিদাম জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসারের পদে ছিলেন'।
তিনি আরও বলেন, ' গত ১৭ বছর ধরে আমি গ্রামীণ স্বাস্থ্য বিভাগে নিযুক্ত। বল্লারী জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভালো কাজ করায় পুরস্কৃতও হয়েছি। কিন্তু তাও আজ আমার এই দশা! আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। জানুয়ারি মাসে আমায় জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । বলা হয় করোনার কারণে আপাতত গ্রামীণ হাসপাতালেই কাজ করতে হবে। কিন্তু ওই আইএএস অফিসার সব জায়গায় স্বাক্ষর না করায় আমার গত ১৫ মাসের মাইনে আটকে।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengaluru