#নয়াদিল্লি: লকডাউনে কাজ হারিয়ে পথে বসেছেন কয়েক কোটি মানুষ। অনেকের আবার বেতন কমে গেছে। সমস্যায় থাকা বেসরকারি কর্মীদের জন্য বাজেটে থাক বাড়তি ছাড়। দাবি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের। লকডাউনে কাজ হারিয়ে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের ঘরের ফেরার ছবি এখনও মনে গাঁথা। লকডাউনে চরম সমস্যায় পড়েছেন মাস মাইনেতে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাও। লকডাউনে ২০২০-র এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্যে কাজ হারান ২.১ কোটি চাকরিজীবী ৷
২০২০ অর্থবর্ষের শুরুতে দেশে ২১% চাকরিজীবী ছিলেন ৷ সেপ্টেম্বরে কমে ১৭ শতাংশ হয়ে যায় ৷ করোনা পরিস্থতি গোটা দুনিয়াতেই কম বেশি এই ছবি। বহুক্ষেত্রে কর্মীদের চাকরি না গেলেও কাটছাঁট হয়েছে বেতনে। কিন্তু বাজারে খরচ কমেনি। সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ইএমআই বন্ধ রাখলেও সুদ দিতে হয়েছে। খরচ সামলাতে না পেরে এখন বাজেটের দিকেই তাকিয়ে এই চাকরিজীবীরা। প্রত্যাশা প্রচুর। এদিকে লকডাউনের প্রভাব পড়েছে সরকারের ভাঁড়াড়েও। এই পরিস্থিতিতে কোন ফর্মুলায় বাজেট ব্যালান্স করবেন নির্মলা সীতারমন? সেই দিকেই সকলের নজর ৷
ধস নেমেছে পর্যটন ক্ষেত্রে। ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হয়েছে বহু হোটেল। ধুঁকতে থাকা পর্যটন শিল্পে প্রাণ আনতে কী দাওয়াই দেবেন নির্মলা সীতারমন? সেদিকে তাকিয়ে পর্যটন ক্ষেত্রে যুক্তরা।
অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। এখন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। নানা খাতে অর্থবরাদ্দ নিয়েও মতামত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সূত্রে ধরে তাঁদের বক্তব্য, আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে ব্যয়ের খাতে বাড়াতে হবে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ। একইসঙ্গে ফিসকাল ডেফিসিটের কথাটিও মাথায় রাখতে হবে। তবেই সম্ভব হবে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার।