#নয়াদিল্লি: দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতাল জানিয়েছে, এখানে ভর্তি হওয়া কোভিড ১৯ (Covid19) রোগীদের মধ্যে ১৩ জন ছত্রাক সংক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লির এই হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে এই সংক্রমণের ফলে অনেকের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে, নাক ও চোয়ালের হাড় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এঁদের মধ্যে পাঁচ জন রোগী এই সংক্রমণের জন্য মারাও গিয়েছেন। এই কালো ছত্রাক সংক্রমণকে চিহ্নিত করা হয়েছে মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) হিসেবে। যখন কোভিড ১৯ -এর মতো ভাইরাস দ্বারা কেউ আক্রান্ত হন, তখন স্বভাবতই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। আর এই রকম শারীরিক অবস্থাতেই এই ছত্রাক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
এই হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডক্টর মণীশ মুঞ্জল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে করোনার জন্য দ্রুত হারে মিউকরমাইকোসিস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা। এতে রোগীর মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এটা খুবই চিন্তার বিষয় বলে তিনি মনে করছেন।
তা হলে এই ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হলে কী করা উচিৎ? এই প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার মুঞ্জল বিস্তারিত ভাবে অনেক কিছু জানালেন। তাঁর মতে এই ছত্রাক দ্বারা কেউ আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গাল আর চোখ ফুলে যাওয়া, নাকে কালো শুষ্ক চামড়া দেখা দেওয়া- এগুলো সবই ছত্রাক সংক্রমণের উপসর্গ। এরকম কিছু হলেই দেরি না করে বায়োপ্সি করা দরকার। সংক্রমণ ধরা পড়লে অতি দ্রুত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
তবে দিল্লির হাসপাতালেই এই প্রথমবার যে মিউকরমাইকোসিস দেখা গেল, তা কিন্তু নয়। এর আগে আহমেদাবাদেও কোভিড ১৯ রোগী যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদেরও এই ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবেটিস বা ক্যানসার আছে, বা যাঁরা কিডনি কিম্বা হার্টের অসুখে ভুগছেন, তাঁদের এই ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
https://twitter.com/ANI/status/1338812364762750981?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1338812364762750981%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.firstpost.com%2Ftech%2Fscience%2Ffungal-infection-triggered-by-covid-19-seen-in-cities-all-over-india-all-you-need-to-know-9124011.html
সরকারের পক্ষ থেকে এনআইটিআই আয়োগের ডক্টর ভিকে পল বলেছেন যে এটি একটি মারাত্মক রোগ, যার চিকিৎসা সহজ নয়। আর সেই জন্য তিনি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, প্রথমে সামান্য একটা সংক্রমণ বলে মনে হলেও পরে সাঙ্ঘাতিক রূপ ধারণ করতে পারে। করোনা সংক্রমণ না হলেও এটা হতে পারে।
তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ- বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বন্ধ করা যাবে না। যেহেতু করোনার সঙ্গে এর যোগসূত্র আছে, তাই সতর্ক থাকতেই হবে। বাগানের কাজ বা মাটির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এলে গ্লাভস আর ফুলহাতা জামা পরা বাঞ্ছনীয়। যাঁরা স্টেরয়েড নেন, তাঁদের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে পরিমাণ কমাতে হবে।