হোম /খবর /দেশ /
ডাকাতিতে গিয়েছিল সর্বস্ব, স্টেশনে ভাজার দোকান দিয়ে এই মহিলাই বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়ী

ডাকাতিতে গিয়েছিল সর্বস্ব, রেলস্টেশনে ভাজাভুজির দোকান দিয়ে এই মহিলাই আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী!

ত্রিশূর বাজারে এর পর ইলাবরসির দোকান শুরু হয়। মিষ্টি আর চিপস তো বটেই, পাশাপাশি নানা রকমের সুস্বাদু কেকও তিনি তৈরি করতে শুরু করেন।

  • Last Updated :
  • Share this:

#ত্রিশূর: ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল একদিন বিশ্বের ব্যবসায়ী মালিকদের (entrepreneur) তালিকায় তাঁরও নাম উঠবে। আসলে পরিবারের সবাইকেই তিনি দেখেছেন স্বনির্ভর ব্যবসায়ী হিসেবে, তাঁরা নানা রকম মিষ্টি, চিপস আর ভাজাভুজি বিক্রি করে উপার্জন করতেন। কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা ইলাবরসি জয়কান্তও এভাবেই বড় হয়ে ওঠেন। বাবা-দাদার কাজে ছোট থেকে সাহায্য করতে করতেই শিখে ফেলেন নানা মুখরোচক খাবার আর মিষ্টি তৈরির কলাকৌশল। কিন্তু এত গুণ থাকা সত্ত্বেও তাঁর যাত্রাপথটি সহজ ছিল না, সে কথা সংবাদমাধ্যমকে নিজেই জানিয়েছেন মহিলা।

বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ি থেকেই মিষ্টি, চিপস তৈরি করে বিক্রি করতেন ইলাবরসি। তাঁর হাতের তৈরি খাবারের চাহিদাও ছিল। তাই স্বামী এবং ছেলেদের সঙ্গে একদিন সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে কথা বলেন তিনি। জানান, একটা দোকান দিতে চান! পরিবার সেই ইচ্ছায় সম্মতি দিলে শুরু হয় তোড়জোড়। ব্যাঙ্ক এবং অন্য ক্ষেত্র থেকে মোট ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এই সময়ে ইলাবরসি, জানিয়েছেন তিনি।

ত্রিশূর বাজারে এর পর ইলাবরসির দোকান শুরু হয়। মিষ্টি আর চিপস তো বটেই, পাশাপাশি নানা রকমের সুস্বাদু কেকও তিনি তৈরি করতে শুরু করেন। বিক্রি এতটাই বেড়ে যায় যে তাঁকে সব দিক সামলানোর জন্য ৫০জন কর্মীনিয়োগ করে হয়েছিল। আর এভাবে যখন সব কিছু ঠিক পথে চলছে, তখনই দেখা দিল অতর্কিতে বিপদ- দোকানের ডাকাতিতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হলেন ইলাবরসি এবং পরিবার!

জানা গিয়েছে যে এই ঘটনা ইলাবরসিকে ভিতর থেকে এতটাই ভেঙে দিয়েছিল যে শুধু মানসিক অবসাদ নয়, পাশাপাশি নানা শারীরিক সমস্যারও সম্মুখীন হন তিনি, তাঁকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। কিন্তু ব্যাঙ্ক আর পাওনাদাররা তো আর সে কথা শুনবেন না। তাই হাসপাতাল থেকে ফিরে ঋণশোধের তাগিদে আবার কাজ শুরু করতে হল তাঁকে। এই সময়ে বিনিয়োগ ছিল মোটে ১০০ টাকা, তাই দিয়ে জিনিস কিনে ত্রিশূর রেলস্টেশনে একটা ভাজাভুজির দোকান দিয়েছিলেন ইলাবরসি। নাম ছিল অবতি হট চিপস।

তাঁর ভাজা গরম চিপস ধীরে ধীরে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। তার পর ভাজাভুজির তালিকায় আসে বড়া। এই সময়ে ভাগ্য আবার প্রসন্ন হয়। ক্রেতাসংখ্যা এতটাই বেড়ে যায় যে সব ধারশোধ করে দিতে পারেন ইলাবরসি। তার পর নতুন করে শুরু হয় বাণিজ্যিক উদ্যোগ। খবর বলছে যে, আপাতত ত্রিশূরে ৪টি দোকান আছে ইলাবরসির, সব হয়েছে ওই রেলস্টেশনের ভাজাভুজির দোকানের লাভ থেকেই!

আর ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন?

২০১৯ সালেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তাঁকে বছরসেরা অন্ত্রেপ্রেনারের পুরস্কার দিয়েছে! প্রমাণ করে দিয়েছেন ইলাবরসি- সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে কী ভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো যায়!

Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: Kerala