#নয়াদিল্লি: আর কয়েকদিন পরই পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাজেট(Union Budget 2021)। কৃষি,স্বাস্থ্য এবং আয়কর থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রেই ক্রমশ প্রত্যাশা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন অর্থবর্ষের বাজেটে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বা FDI নিয়েও একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে, সেক্টরগুলিকে ফের বাঁচিয়ে তুলতে আরও বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ টানতে হবে। আর ঠিক এদিক থেকেই এবারের বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে FDI।
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন FDI India-এর CEO বিশাল যাদব। তিনি জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে আমরা সকলে আশাবাদী। এক্ষেত্রে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে এবং দেশের ব্যবসার পরিসর বাড়াতে FDI নিয়ে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আশা করা যায়। সব ঠিক থাকলে দু'টি নতুন নীতি আনতে পারে সরকার। এগুলি হল নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি ও ন্যাশনাল ই-কমার্স পলিসি। পাশাপাশি লেবার রিফর্ম পলিসিও আনা হতে পারে। তাঁর কথায়, আসন্ন বাজেটে মূলত সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেল ট্রেডিং, কনট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, কোল মাইনিং ও ডিজিটাল মিডিয়ায় FDI নিয়ম নীতিতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বলা বাহুল্য, ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারের লক্ষ্যে বছরের পর বছর ধরে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে চলেছে সরকার। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে গ্রস বাজেট সাপোর্ট ছিল ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে প্রায় ১৮.১ শতাংশ বেড়ে এই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪.১২ লক্ষ কোটি টাকা।
দেশে FDI বিনিয়োগের রূপরেখাও বেশ আকর্ষণীয়। বছরের পর বছর ধরে দেশের বাজারে বেড়েছে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ। ২০২০ অর্থবর্ষে FDI ইক্যুইটি ১৩ শতাংশ বাড়ে। এর জেরে তার আগের বছরের ৪৪.৩৬ বিলিয়ন ডলার অর্থের পরিমাণ বেড়ে হয়ে যায় ৪৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ৩০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে ফেলে অর্থের পরিমাণ।
বিশাল যাদবের কথায়, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার অ্যান্ড হার্ডওয়্যার, সার্ভিস সেক্টর, IT, টেলিকম, ফার্মা, অটোমোবাইল, কেমিক্যাল-সহ একাধিক ক্ষেত্রে FDI নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আসন্ন বাজেটে। আর এই ক্ষেত্রগুলিতে সম্ভাবনাও অনেকটা বেশি।
উল্লেখ্য, FDI ইক্যুইটি ফ্লো-এর দিক থেকে চলতি অর্থবর্ষে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর (৮.৩ বিলিয়ন ডলার)। এরপর রয়েছে আমেরিকা (৭.১২ বিলিয়ন ডলার) ও কেম্যান আইল্যান্ড (২.১ বিলিয়ন ডলার)। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে সবাই ভারত ও কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷