#নয়া দিল্লি: খবর এসেছিল আগেই- এক মহিলা ফাইটার পাইলটকে স্কোয়াড্রোনে যোগ দেওয়ার জন্য আম্বালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আরেকটু এগিয়ে এ বার খবর মিলল পাকাপাকি- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী সিং রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি পরিচালনা করার জন্য গোল্ডেন অ্যারোজ স্কোয়াড্রনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ভারতীয় নৌবাহিনী দুই মহিলা অফিসারকে যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ সমরে লড়াই করার মর্যাদা দিয়েছেন। আর সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ভারতীয় বিমানবাহিনীও নিজেদের যুগ যুগ ধরে চলে আসা প্রথা ভেঙে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্তমানে আইএএফ-তে ১০ জন মহিলা ফাইটার পাইলট এবং ১৮ জন মহিলা নেভিগেটরস রয়েছেন। আইএএফ-এ কর্মরত মহিলা অফিসারদের মোট সংখ্যা ১,৮৭৫। ফ্রান্সে তৈরি পাঁচটি বহুবিধ ক্ষমতাসম্পন্ন রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর গত বছরে ১০ সেপ্টেম্বর আইএএফ-র গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনকে নতুনভাবে সাজানো হয়। কিন্তু আর সবাইকে ছেড়ে শিবাঙ্গী সিং-এর নাম উঠে এল কেন?
শিবাঙ্গী সিং মহিলা যোদ্ধা পাইলটদের দ্বিতীয় ব্যাচের অংশ হিসাবে ২০১৭ সালে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে (আইএএফ)যোগ দেন। বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শিবাঙ্গী মিগ-২১ বাইসন আকাশে ওড়াতেন। কমিশনারিংয়ের পর থেকে সিং মিগ -২১ বাইসন বিমান চালাচ্ছেন। বারাণসীর বাসিন্দা শিবাঙ্গীর এখন প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলে তিনি স্কোয়াড্রনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করবেন।
প্রশিক্ষণের পরে, তিনি আইএএফের প্রাচীনতম জেট, মিগ-২১ থেকে আধুনিকতম রাফাল চালনা করবেন। ২০১৭ সালে দ্য হিন্দু-কে একটি সাক্ষাৎকারে শিবাঙ্গী বলেছিলেন যে তিনি পাখির মতো আকাশে উড়তে চান। আর এ হেন ইচ্ছে থেকেই এই পেশাতে আশা। তাঁর ইচ্ছে পূর্ণ হয় যখন তিনি ও তাঁর ব্যাচমেট ফ্লাইট লিউটেনেন্ট প্রতিভা আইএএফে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। সিং তখন দ্য হিন্দুকে জানিয়েছিলেন যে তিনি একটি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছেন। কাজেই যখন প্রথম ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বিমানবাহিনীতে থাকতে চান, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন শিবাঙ্গী। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) থেকে পাস করার পর ২০১৬ সালে তিনি এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমিতে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন জাতীয় ক্যাডেট কর্পসের ৭ ইউপি এয়ার স্কোয়াড্রনের অংশ ছিলেন তিনি।
বলে রাখা ভালো, এর আগে তিনি উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গেও কাজ করেছেন। এই আইএএফ অফিসারকে গত বছর যুদ্ধ চলাকালীন ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বিমান বাহিনী বা পিএএফ বন্দী করে।