#নয়াদিল্লি: করোনা আবহে আরও ছয় মাস অক্সিজেন পেল ভারতীয় রেলের পাঁচ প্রিন্টিং প্রেস। চলতি মাসেই ৩০ তারিখ ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার কথা ছিল এই ছাপাখানা গুলোর। আপাতত রেল মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে দেশের পাঁচ রেলওয়ে জোনের পাঁচ ছাপাখানা। ২০১৫ সালেই মোদী সরকারের প্রথম ধাপে নিজেদের সব ছাপাখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। সেই হিসেবে দেশের ১৪ ছাপাখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে ৯ টি ছাপাখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাকি অন্যতম বড় ছাপাখানা মুম্বই, হাওড়া, দিল্লি, চেন্নাই ও সেকেন্দরাবাদ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় ২০১৯ সালে। রেল মন্ত্রক যে নোটিফিকেশন জারি করে সেখানে বলা হয় ২০২০ সালের জুন মাসে এই পাঁচ ছাপাখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। শেষমেষ সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে জানানো হয়েছে ডিসেম্বর মাস অবধি চলতে পারবে এই পাঁচ ছাপাখানা।যে যে ছাপাখানা অক্সিজেন পেল সেগুলি হল, সেন্ট্রাল রেলের বাইকুল্লা,মুম্বাই। পূর্ব রেলের হাওড়া।উত্তর রেলের শকুরবস্তি, দিল্লি। দক্ষিণ রেলের চেন্নাই। দক্ষিণ মধ্য রেলের সেকেন্দরাবাদ। সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছে এই ছাপাখানাগুলি বন্ধ হলে তাদের রেলের বিভিন্ন নিরাপত্তার বিভাগে বদলি করে দেওয়া হবে। ছাপাখানায় যে সব যন্ত্রপাতি ছিল সেগুলি বিক্রি করে দেওয়া হবে। ভারতীয় রেলের এই পাঁচ ছাপাখানায় প্রায় ২৫০০ কর্মী কাজ করেন। হাওড়ার ছাপাখানায় প্রায় ৫০০ কর্মী আছেন। পূর্ব রেলের হাওড়া ছাপাখানায় প্রায় ৫০ কোটির বেশি অসংরক্ষিত টিকিট ছাপা হয়। এছাড়া ছাপা হয় পিসিটি। এছাড়া ছাপা হয় টিকিট সংরক্ষণ, মানি-ভ্যালু, খাতা, ফাইল সহ একাধিক কাগজ। এছাড়া ইউ টি এস টিকিটও ছাপা হয় এখান থেকে। এই ছাপাখানায় বিশেষ সুরক্ষা যুক্ত যন্ত্র আছে যা মানি-ভ্যালু ও সংরক্ষিত টিকিট ছাপার জন্য ব্যবহার হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Indian Railway