#দেহরাদুন: উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় হড়পা বানে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিপর্যয়ের পরে কেটে গিয়েছে তিন দিন। এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। কিন্তু রবিবার হিমবাহ ফাটার কয়েক ঘণ্টা আগে বিপর্যয়ের আগাম আভাস পেয়েছিল অলকানন্দা নদীর মাছেরা। কারণ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে নাকি নদীর মাছগুলি অদ্ভুত আচরণ করছিল।
জানা যাচ্ছে, রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ অলকানন্দা নদীর অসংখ্য মাছ একঝাঁকে ভেসে উঠেছিল। তখন লাসু গ্রামের বাসিন্দারা নদীর ধারে জোট বাঁধেন। তাঁরা বালতি এনে নদী থেকে মাছও ধরা শুরু করেছিলেন। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় মাছ ধরার জন্য জাল ব্যবহার করতে হয়নি গ্রামবাসীদের। মাছগুলি নিজে থেকেই ভেসে উঠেছিল। এমনই দাবি গ্রামের মানুষের।
তার কিছুক্ষণ পরেই যে ভয়াবহ বিপর্যয় উত্তরাখণ্ডের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি। কিন্তু মাছগুলির এমন আচরণ দেখে মনে করা হচ্ছে, মাছগুলি কি আগেই টের পেয়েছিল বিপর্যয়ের?
তবে শুধু অলকানন্দা নদী নয়। ধৌলিগঙ্গা এলাকা যেমন নন্দপ্রয়াগ, লাংসু, কর্ণপ্রয়াগেও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে মানুষ। এই এলাকাতেও মাছ এবং জলজ প্রাণী ভেসে উঠেছিল। এক বাসিন্দা বলছেন, নদীর মাঝের স্রোত বরাবর মাছগুলি থাকে সাধারণত। কিন্তু এক্ষেত্রে একদম নদীর ধারে মাছগুলি চলে এসেছিল। তবে মাছেদের এমন আচরণ খুবই বিরল ও অদ্ভুত বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। এমনকি জলের রংও নাকি বদলে গিয়েছিল। স্বচ্ছ জলের রং ধূসর হয়ে গিয়েছিল।