Prachi Mishra
#নয়াদিল্লি: মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট, ১৯৮৮ (Motor Vehicle Act, 1988)। এই আইনের সূত্র ধরেই ট্র্যাফিক নিয়মভঙ্গকারীদের ধরিয়ে দেওয়া হয় চালানের কাগজ। কিন্তু চালান কাটলে কী কী হতে পারে? এই সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়াগুলি কী কী? এ নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mishra)। আসুন জেনে নেওয়া যাক!
চালান ইস্যু করার পদ্ধতি
দুই ধরনের চালান রয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়মভঙ্গকারীদের অন-স্পট চালান বা ই-চালান ইস্যু করা যেতে পারে। যা নির্ভর করছে পরিস্থিতি ও অপরাধের উপরে।
ই-চালান কী?
চালানের ইলেকট্রনিক ফর্ম এটি। ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙলেই এই চালান ইস্যু করা হয়। এক্ষেত্রে অনলাইন ও অফলাইনে চালানের টাকা জমা দেওয়া যেতে পারে।
কে ইস্যু করতে পারবেন ট্র্যাফিক চালান?
ট্র্যাফিক পুলিশ বা হেড কনস্টেবলের উপরের ব়্যাঙ্কের যে কোনও পুলিশকর্মী চালান ইস্যু করতে পারেন। তবে সাধারণ পুলিশকর্মীদের এই ক্ষমতা নেই।
অনলাইনে কী ভাবে দেবেন ই-চালান?
এক্ষেত্রে ই-চালান জমা দেওয়ার অফিসিয়াল পোর্টালে নজর রাখতে হবে। নির্দিষ্ট লিঙ্ক খুলে যাওয়ার পর নিয়ম মেনে একের পর এক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
ই-চালানের পেমেন্টে কত দিন সময় লাগবে?
চালান ইস্যু হওয়ার পর সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে কোর্টে হাজিরা দিতে হয়।
যদি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়, তাহলে কী ভাবে টাকা জমা দিতে হবে?
এক্ষেত্রে সাধারণত অন-স্পট চালান ইস্যু হয়। নিয়মভঙ্গকারীর মোবাইল নম্বর বা রেজিস্ট্রার করা মোবাইল নম্বরটিতে পৌঁছে যায় এসএমএস। এক্ষেত্রে কোর্টের ঠিকানা, দিনক্ষণ ও যাবতীয় তথ্য দিয়ে দেওয়া হয়। এর পর নিয়ম মেনে কোর্টে হাজির হয়ে জরিমানা দিতে হবে। প্রয়োজনে RTO-তে যোগাযোগ করতে হবে।
চালান বাতিল
অনেক সময়ে প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারলে, চালান কেটে দেয় ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। এক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে ১৫ দিনের প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়ে দিতে পারলে প্রতি নথি প্রতি ১০০ টাকা দিয়ে চালান বাতিল করা যেতে পারে।
ভুল ই-চালান পেলে কী হবে?
অনেক সময়ে আপনার গাড়ির সঙ্গে অন্য গাড়ি গুলিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভুল চালান চলে আসতে পারে। তবে এ নিয়ে অধিক চিন্তার কোনও কারণ নেই। এক্ষেত্রে গাড়ির মালিককে চালান নম্বর পাঠাতে হবে। পরে মেইলের মাধ্যমে চালান ভেরিফিকেশন করা যায়।
কী ভাবে কমানো যাবে জরিমানার টাকা?
লোক আদালতে গিয়ে জরিমানা কমানোর আবেদন জানাতে পারেন সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী।
জরিমানার জন্য কি কেউ মাঝপথে আটকাতে পারে?
রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালানের টাকা বা জরিমানা আদায়ের কোনও অধিকার নেই ট্র্যাফিক পুলিশের। প্রয়োজনে তাদের কাছে জরিমানা জমা দেওয়া যায়। কিন্তু কোনও যাত্রীকে জোর করার অধিকার নেই ট্র্যাফিক পুলিশের।
যথা সময়ে চালান না দিলে কী হবে?
যদি কেউ যথা সময়ে ই-চালান জমা না করেন, তাহলে কোর্টে যেতে পারে ওই চালানটি। এর পর গাড়ির মালিককে কোর্টে গিয়ে জরিমানা দিতে হবে। অন-স্পট চালানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এক্ষেত্রে ৬০ দিনের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেই ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে কোর্টে চালান পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে কোর্টে গিয়ে জরিমানা দিতে হয় গাড়ির মালিককে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।