#নয়া দিল্লি: সোমবার দিল্লিতে সিএএ এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পুলিশকর্মী, হেড কনস্টেবল রতন লালের৷ তাঁর মৃত্যু মানতে পারছে না তাঁর পরিবার৷ পরিবারে তিন সন্তান রয়েছে রতনলালের, সিদ্ধি (১৩), কণক (১০), রাম (৮)৷ তাঁরা সকলেই বাক্য হারা৷ স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী৷ তারপর বারবার জ্ঞান ফিরে আসছে, কিন্তু আবার খেই হারিয়ে ফেলছেন স্ত্রী পুনম৷
দয়ালপুর থানার কাছে রতনলালের মৃত্যু হয় সোমবার৷ প্রতিবাদের নামে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়, যাতে এককথায় তাণ্ডব চলে এলাকায়৷ আর তাতেই গুলি লাগে রতনলালের৷ এই হামলার ঘটনায় যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রথম এই তিন সন্তানের পিতা স্বভাবে শান্তিপ্রিয় রতনলাল৷
"दिल्ली सरकार हर उस शहीद जवान के परिवार को ₹1 करोड़ सम्मान राशि देती है, जो अपने देश की सेवा में अपने आप को त्याग देते हैं
उनके बलिदान का कोई मोल नहीं, लेकिन समाज और सरकार उनके परिवार की जिम्मेदारी तो ले ही सकते हैं !" : @ArvindKejriwalpic.twitter.com/NjK4zcYFii
রাজস্থানের শিকার জেলায় বাসিন্দা ১৯৯৮ সালে পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন৷ ২০০৪ সালে পুনমের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর৷
ঘটনার পর যখন দিল্লির অমৃত বিহার কলোনিতে রতনলালের বাড়িতে, ততক্ষণে মা জানতে পারলেও সন্তানেরা জানতে পারেনি৷ পরে সাদা চাদরে ঢাকা বাবার মৃতদেহ দেখে তারা চমকে ওঠে৷ ভেঙে পড়ে কান্নায়৷
চোখের জলে ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে দিনেশ, রতন লালের দাদা জানালেন, ‘আমার ভাই ঘটনাস্থলে এসিপিকে সঙ্গ দিতে গিয়েছিলেন শুধু৷ ঘটনার মাঝে হঠাৎ ও উন্মত্ত জনতার মাঝে পড়ে যায়৷ বিশ্বাস করুন, আর পাঁচজন পুলিশকর্মীর মতো ও ছিল না৷ শান্তি প্রিয় ছিল আমার ভাই৷’
ঘটনায় শহীদ প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে দিল্লির সরকার৷ বলা হয়েছে, ঘটনায় শহিদ প্রতিটি পরিবারকে দিল্লি সরকারের তরফ থেকে ১ কোটি টাকা করে সাহায্য দেবে সরকার৷ দেশের হয়ে কাজ করতে গিয়ে য়াদের প্রাণহানি হয়েছে৷ আপের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, ‘আমরা জানি, এই ঘটনায় য়ে মানুষেরা দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের কোনও মূল্যেই বিচার করা যায় না৷ কিন্তু আমরা তবু বলছি, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা শহিদের পরিবারের সব দায়িত্ব নেব৷’