#নয়াদিল্লি: এক মাসের ওপর ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। সরকার এবং কৃষক নেতারা একাধিকবার আলোচনা করেও সমাধান বের করতে পারেনি। দু'পক্ষই নিজেদের সিদ্ধান্তে অবিচল। এবার সিংঘু সীমান্তে প্রতিবাদী কৃষকদের জন্য ওয়াইফাই বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা এ খবর জানিয়ে বলেছেন,'দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা রাস্তায় প্রতিবাদ করছে। খাবার বা জামাকাপড়ের অভাব খুব একটা না থাকলেও সবচেয়ে বড় অসুবিধে যোগাযোগ ব্যবস্থার। ইন্টারনেট ছাড়া আজকের পৃথিবী অচল। আমরা চাই আন্দোলনরত কৃষকরা যাতে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। সে কারণেই ওয়াইফাই বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে খুব তাড়াতাড়ি ওয়াইফাই হটস্পট লাগানো হবে। এর ফলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন কৃষকরা। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আমাদের পার্টির তরফ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে"।
Announcement :
After reports of farmers facing network issues, Aam Aadmi Party to provide free wifi to all the protesting farmers at Singhu border.
AAP is committed to help farmers in every way. Jai Kisan.pic.twitter.com/mvGbZEcEWA
— AAP (@AamAadmiParty) December 29, 2020
সূত্রের খবর একাধিক ওয়াইফাই বসানো হবে। এক একটি ১০০ মিটারের মত জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে। দু'দিন আগেই সিংঘু সীমান্তে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গুরু তেগ বাহাদুরের স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন কৃষি আইন তুলে নিতে। বিনা কারণে জেদাজেদির জন্য একাধিক কৃষক মারা যাচ্ছেন, এই আইনের কোনও মানে নেই দাবি করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের সঙ্গে আইন নিয়ে বিতর্ক সভা করার চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
কিন্তু নিজেদের অবস্থান থেকে সরে যেতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। জমি অধিগ্রহণ নয়, পাশাপাশি ফসলের নূন্যতম মূল্য বজায় থাকবে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।পাশাপাশি কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও আন্দোলনরত কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আইন তাঁদের হিতেই এই বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আম আদমি পার্টির দাবি তাঁদের ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তটা অরাজনৈতিক। কিন্তু এতে রাজনীতির গন্ধ একেবারেই নেই বিশ্বাস করতে রাজি নন অধিকাংশ রাজনীতিবিদ।